নিজস্ব প্রতিবেদক:
ইউক্রেনে বাংলাদেশি জাহাজে রকেট হামালা এবং অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার পর ২৮ নাবিককে নিরাপদে ফিরিয়ে আনতে চেষ্টা চলছে। নাবিকদের পর্যাপ্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা করে ফিরিয়ে আনাই প্রথম লক্ষ্য। আন্তর্জাতিক মেরিটাইম আইন অনুসরণ করে তাদের ফিরিয়ে আনা হবে। এ ব্যাপারে নৌপরিবহন ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলো কাজ করছে।
বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশনের (বিএসসি) নির্বাহী পরিচালক ড. পীযূষ দত্ত গণমাধ্যমকে এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘বাংলার সমৃদ্ধি’ জাহাজের বাকি ২৮ জন নাবিক-ক্রু অক্ষত আছেন। তাদের নিরাপদে সরিয়ে নেওয়ার আগে বন্দরের তীর থেকে কাউকে সেফটি ও সিকিউরিটি নিশ্চিত করতে হবে। ইউক্রেন সরকার, আমাদের সরকার, দূতাবাস কিংবা বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা থেকেও হতে পারে। যেকোনো এক জায়গা থেকে পেলেও আমরা সেক্ষেত্রে জাহাজের নাবিক-ক্রুদের অনুমতি দেব।’
যুদ্ধের ডামাডোলে জাহাজটি ইউক্রেন পাঠানো প্রসঙ্গে ড. পীযূষ দত্ত বলেন, জাহাজটি না পাঠানোর সুযোগ ছিল না। চার্টারার যদি যেতে চায় আইনগতভাবে না পাঠানোর সুযোগ নেই। ক্যাপ্টেনের পারফরম্যান্সে আমরা সন্তুষ্ট। তারা জীবনবাজি রেখে সাধ্যমতো চেষ্টা করেছেন ক্ষয়ক্ষতি কমানোর।
প্রসঙ্গত, বিএসসি নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের অধীন একটি সরকারি সংস্থা। এ সংস্থার সাধারণ পণ্যবাহী জাহাজ ‘এমভি বাংলার সমৃদ্ধি’ গত ২২ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনের অলিভিয়া বন্দরে পৌঁছানোর পর থেকে সেখানে রয়েছে। জাহাজে বাংলাদেশের ২৯ জন নাবিক ছিলেন। ইউক্রেন থেকে সিরামিকের কাঁচামাল নিয়ে তাদের ইতালিতে যাওয়ার কথা ছিল।
গতকাল বুধবার স্থানীয় সময় বিকাল ৫টা ১০ মিনিটে (বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে ৯টায়) এমভি বাংলার সমৃদ্ধি জাহাজে রকেট হামলা হলে বাংলাদেশি নাবিক জাহাজটির থার্ড ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে কর্মরত হাদিসুর রহমান মারা যান। তাঁর বাড়ি বরগুনার বেতাগী উপজেলার হোসনাবাদ গ্রামে।
বিএসডি/ এলএল