ক্রিকেটবিশ্বে এখন ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগের রমরমা অবস্থা। সেগুলোর দাপটে বিভিন্ন দেশের ক্রিকেট বোর্ড এবং তাদের কর্তারা শঙ্কায় রয়েছেন।কারণ অর্থের নেশায় অল্প বয়সে অবসর নিয়ে নিচ্ছেন ক্রিকেটাররা। দেশের হয়ে খেলা এড়িয়ে ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে খেলার প্রবণতা বাড়ছে তাদের।
এতে চোটের আশঙ্কা বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিশেষ করে বিশ্বকাপের মতো টুর্নামেন্টের আগে ইনফর্ম কোনো ক্রিকেটার ইনজুরিতে পড়লে দলের ভারসাম্য নষ্ট হতে পারে।
ফলে সমস্যায় পড়তে পারে জাতীয় দল। এসব চিন্তা করে কেন্দ্রীয় চুক্তিবদ্ধ ক্রিকেটাররা কতটি টি-টোয়েন্টি ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে খেলতে পারবেন, তা নিয়ে বিধিনিষেধ আরোপ করেছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)।
টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়, ইতোমধ্যে কেন্দ্রীয় চুক্তির বিভিন্ন ধারা নিয়ে পাক বোর্ডের সঙ্গে মনোমালিন্য চলছে বাবর আজম, শাহিন শাহ
আফ্রিদি ও মোহাম্মদ রেজওয়ানদের। এমন অবস্থায় ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে খেলার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করল পিসিবি। ফলে নতুন করে বিতর্ক সৃষ্টি হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
বিদেশি ঘরোয়া টি-টোয়েন্টি লিগে খেলে অতিরিক্ত অর্থ উপার্জনের চেষ্টা করেন ক্রিকেটাররা। এবার বোর্ড তাতে হস্তক্ষেপ করায় তাদের অসন্তোষ বাড়তে পারে।
তবে পিসিবির কর্তারা জানিয়েছেন, সাম্প্রতিক সময়ে বেশ কিছু ঘটনা তাদের এ সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য করেছে।
সম্প্রতি একাধিক পাকিস্তানি ক্রিকেটার চোটে পড়েছেন। এ তালিকা দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হচ্ছে। নাসিম শাহ, হারিস রউফ, মোহাম্মদ হাসনাইন, এহসানউল্লাহ ও হাসান আলি ইনজুরিতে আছেন। ঠিক তখনই দরজায় কড়া নাড়ছে ওয়ানডে বিশ্বকাপ। ফলে টিম ম্যানেজমেন্টের দুশ্চিন্তা বেড়েছে।
অবশ্য এখনো ক্রিকেটারদের সঙ্গে পিসিবির নতুন কেন্দ্রীয় চুক্তি চূড়ান্ত হয়নি। এর মধ্যেই নিষেধাজ্ঞা জারি করল বোর্ড। এখন ক্রিকেট ম্যানেজমেন্ট কমিটির প্রধান জাকা আশরাফ সব কিছু দেখভাল করছেন।
জাকা আশরাফ বলেন, দেশের ক্রিকেটের স্বার্থেই এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। এই পরিস্থিতিতে ক্ষতিপূরণের দাবি করতে পারেন ক্রিকেটাররা। সেটি বিবেচনায় নেওয়া হবে।
কার্যত আসন্ন ওয়ানডে বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে গেছেন নাসিম। লংকা প্রিমিয়ার লিগে (এলপিএল) নিজের বুড়ো আঙুল ভেঙেছেন হাসান।
চলতি এশিয়া কাপের আগে কানাডা গ্লোবাল লিগ, দ্য হান্ড্রেড, এলপিএল, ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়র লিগে (সিপিএল) খেলতে ক্রিকেটারদের ঢালাও এনওসি (অনাপত্তিপত্র) দিয়েছিল পিসিবি।
যার বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন দেশটির সাবেক ক্রিকেটাররা। এশিয়া কাপ এবং বিশ্বকাপের আগে খেলোয়াড়দের ওয়ার্কলোড ব্যবস্থাপনা সঠিক হয়নি বলে মন্তব্য করেছেন তারা।