নিজস্ব প্রতিনিধি:
গণপরিবহনের ভাড়া বাড়িয়ে সরকার জনগণের কাঁধে বোঝা চাপিয়ে দিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভূঁইয়া।
সোমবার (৮ নভেম্বর) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তারা এসব কথা বলেন।
ন্যাপের এই দুই নেতা বলেন, জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির পর সব পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে গণপরিবহন ও লঞ্চের ভাড়া পুনর্র্নিধারণ করা প্রয়োজন থাকলেও, সরকার বরাবরের মতো পরিবহন-লঞ্চ মালিক ও তাদের সিন্ডিকেটদের প্রেসক্রিপশন অনুযায়ী ভাড়া বাড়িয়ে জনগণের কাঁধে বোঝা চাপিয়ে দিয়েছে।
তারা আরও বলেন, সরকারও জিতলো পরিবহন মালিকরাও জিতলো, মাঝখানে ঠকলো হতভাগা জনগণ। এই ভাড়া বৃদ্ধি জনগণের সঙ্গে চরম নিষ্ঠুরতা।
জেবেল রহমান গানি ও এম. গোলাম মোস্তফা ভূঁইয়া বলেন, সরকার জনগণের স্বার্থবিরোধী ডিজেল ও কেরোসিনের দাম ২৩ শতাংশ বাড়িয়েছে। এই অজুহাতে বাস-ট্রাক ও লঞ্চের মালিকরা ভাড়া বাড়ানোর দাবিতে পরিবহন ধর্মঘটের নামে জনগণকে জিম্মি করে। তারা ডিজেল চালিত যানবাহনের পাশাপাশি সিএনজি, অকটেন ও পেট্রল চালিতসহ সব ধরনের গণপরিবহন চলাচল বন্ধ করে দেয়।
জনগণের স্বার্থ চিন্তা না করে গণপরিবহনের ভাড়া বাড়ানো হয়েছে উল্লেখ করে তারা বলেন, জনগণের কোনো দায়িত্ব নিচ্ছে না। এরই ধারাবাহিকতায় সরকার রাতের অন্ধকারে ডিজেল-কেরাসিন-এলপিজি গ্যাসের দাম বাড়িয়েছে। দেশে যখন মহামারি চলছে, মানুষের ক্রয় ক্ষমতা হ্রাস পাচ্ছে, জীবন দুর্বিষহ হয়ে যাচ্ছে, ঠিক সেই মুহূর্তে দাম বাড়ানো মরার ওপর খাঁড়ার ঘার সামিল।
তারা আরও বলেন, এরই মধ্যে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম বেড়ে চলছে। এ মুহূর্তে তেলের ও এলপিজির মূল্যবৃদ্ধি এবং গণপরিবহনের ভাড়া বাড়ানো সাধারণ মানুষের জীবন-জীবিকাকে আরও সংকটের মধ্যে নিয়ে যাবে।
করোনা পরিস্থিতিতে পরিবহন ভাড়া বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসার আহ্বান জানান ন্যাপ চেয়ারম্যান ও মহাসচিব।
বিএসডি / আইকে