বিএনপির মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট ঘটনাকে যুক্তরাষ্ট্রের পার্লামেন্ট ভবন ‘ক্যাপিটল বিল্ডিং’ দখলের সঙ্গে তুলনা করেছেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, সেই দৃশ্যপটের সঙ্গে এই দৃশ্যপটের মিল রয়েছে। বিএনপির পরিকল্পিত এ ঘটনার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রে ২০২১ সালের জানুয়ারি মাসে নিউ নাৎসি বাহিনী নামে পরিচিত সংগঠন কাউবয় ও গো কিপার্সের ক্যাপিটাল হিল দখলের সন্ত্রাসী, আগ্রাসী ঘটনার সঙ্গে মিল রয়েছে।
আজ রোববার রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন। গতকাল শনিবার বিএনপির মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলতে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে আওয়ামী লীগ।
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি চিরাচরিত সন্ত্রাসী ব্যবস্থায় ফিরে গেছে। বিএনপি গণতান্ত্রিক আন্দোলনের কথা বলে আসলে রাজনীতির সন্ত্রাসী ধারা বাস্তবায়নে গোপনে প্রস্তুতি নিয়েছে। তাদের ভয়ংকর রাজনীতির পুরোনো চেহারায় ফিরে আসতে সময় নিচ্ছিল। সময়মতোই তারা পরিকল্পিত ষড়যন্ত্রের পথ বেছে নিয়েছে।
বিএনপি আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ভন্ডুল করতে ধ্বংসাত্মক পথ বেছে নিয়েছে বলে অভিযোগ করেন ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, নিষ্ঠুরভাবে হামলা চালিয়ে পুলিশ সদস্যকে হত্যা, প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলা, হাসপাতালে অগ্নিসংযোগ এসবই ছিল তারেক রহমানের টেকব্যাক বাংলাদেশের স্বরূপ। বিএনপি ঐতিহ্যগতভাবে সন্ত্রাসী সংগঠন। দেশের বিচারব্যবস্থাকে অবজ্ঞা, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে চ্যালেঞ্জ করা এবং চতুর্থ স্তম্ভ গণমাধ্যমকে রুদ্ধ করার অপচেষ্টা চালানোর মধ্য দিয়ে তারা ক্ষমতা দখলের ষড়যন্ত্রে মেতে উঠেছে।
দেশ-বিদেশের সামনে বিএনপির ভয়ংকর চেহারা উন্মোচন হয়েছে জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি তাদের দোসর জামায়াতকে নিয়ে ভবিষ্যতেও সন্ত্রাসের পথে এগোবে। দ্বাদশ নির্বাচনের আগপর্যন্ত আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মী যাঁর যাঁর অবস্থান থেকে বিএনপির বিরুদ্ধে সতর্ক অবস্থানে থাকবেন।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ফারুক খান, আব্দুর রাজ্জাক, জাহাঙ্গীর কবির নানক, আব্দুর রহমান, শাজাহান খান, মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, কামরুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, আফজাল হোসেন, আহমেদ হোসেন প্রমুখ।
বিএসডি / মোঃ নাইমুর রাহমান