বিএনপির নয়াপল্টনস্থ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের দুই পাশে রাখা লোহার ব্যারিকেড (রোডব্লক) সরিয়ে নিয়েছে পুলিশ। মঙ্গলবার দুপুরে বিএনপি কার্যালয়ের সামনে গিয়ে এমন চিত্র দেখা গেছে।
সোমবার রাত ১১টার দিকে এই ব্যারিকেড সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। তবে দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয় এখনও তালাবদ্ধ রয়েছে। পুলিশের অতিরিক্ত সদস্যও মোতায়েন রয়েছে। এই মুহূর্তে বিএনপি কার্যালয়ের ঠিক সামনে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কোনো সদস্য নেই। তারা কার্যালয়ের পার্শ্ববর্তী ভিক্টরি হোটেলের গলিতে এবং শ্রিংলা ইন রেস্টুরেন্টের সামনে অবস্থান করছেন।
নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে গত ২৮ অক্টোবর অনুষ্ঠিত মহাসমাবেশ ঘিরে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ান বিএনপির নেতাকর্মীরা। এরপর থেকে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে প্রবেশের কলাপসিবল গেইট বাইরে থেকে তালাবদ্ধ রয়েছে। তখন থেকেই কার্যালয় কার্যত পুলিশের নিয়ন্ত্রণে।
বিএনপি কার্যালয় ও এর আশপাশে অতিরিক্ত পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হয়। পর্যায়ক্রমে দিনরাত ২৪ ঘণ্টা তারা সেখানে অবস্থান করছেন। এছাড়া গত ৮-১০ দিন আগে কার্যালয়ের সামনে লোহার ব্যারিকেড আনা হয়।
এদিকে, বিএনপি কার্যালয়ের সামনে ও এর আশপাশের এলাকা থেকে গত কয়েক দিনে দলটির বেশ কয়েকজন নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এমন অবস্থার মধ্যে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে শর্তহীন সংলাপে বসার আহ্বান জানিয়ে সোমবার আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জাতীয় পার্টিকে চিঠি দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু। এরপরই বিএনপি কার্যালয়ের সামনে থেকে লোহার ব্যারিকেড সরিয়ে নিল পুলিশ।
মঙ্গলবার সকালে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে অবরোধে নাশকতায় আহতদের দেখতে গিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার হাবিবুর রহমান।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বিএনপি কার্যালয়ে পুলিশ তালা মারেনি, তারা নিজেরাই তালা মেরে রেখেছেন এবং তারা এখন সেখানে আসেন না। কেন আসেন না- সেটা তারাই ভালো বলতে পারবেন। নিরাপত্তার জন্যই সেখানে সব সময় পুলিশ থাকে।
তিনি আরও বলেন, বিএনপি নেতাকর্মীরা যদি এখানে আসেন, অফিস খুলে কার্যক্রম চালান, এতে আমাদের কোনো আপত্তি নেই বা কখনোই ছিল না।
বিএসডি/ এফ এ