প্রযুক্তি ডেস্ক,
দেশের তিনটি কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানে সাইবার হামলা করা হ্যাকারগোষ্ঠী প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছে বিট কয়েনে মূল্য চেয়েছে। বিট কয়েন কীভাবে কিনতে হবে সেই নির্দেশনাও দিয়েছে তারা।
সোমবার (৩০ আগস্ট) বাংলানিউজকে এই তথ্য নিশ্চিত করেন সাইবার নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ তানভীর হাসান জোহা।
জোহা বলেন, যেমনটা আগেই বলেছিলাম যে, তিনটি প্রতিষ্ঠানেই একই হ্যাকারগোষ্ঠী সাইবার আক্রমণ করে বলে আমাদের ধারণা হয়েছিল। কারণ প্রতিটি কোম্পানিতেই একই ই-মেইল ঠিকানা দিয়েছে হ্যাকাররা যোগাযোগের জন্য। সেই হ্যাকাররা এখন প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছে তাদের দখলে থাকা তথ্য ফিরিয়ে দিতে বিট কয়েনে মূল্য পরিশোধ করতে বলেছে। কোথা থেকে বিট কয়েন কিনতে হবে সেটারও একটা নির্দেশনা তারা দিয়েছে।
তবে কত টাকা মূল্যের বিট কয়েন কিনে হ্যাকারদের পরিশোধ করতে হবে সেটা একেক কোম্পানির জন্য একেক রকম হবে বলে বার্তায় জানিয়েছে হ্যাকাররা। হ্যাকারদের দেওয়া বার্তার একটি স্ক্রিনশট বাংলানিউজের হাতে এসেছে। সেখানে হ্যাকাররা লিখেছে –‘তথ্যগুলো ডিক্রিপশন করতে হলে আপনাকে মূল্য পরিশোধ করতে হবে। সেই মূল্যের অংক নির্ভর করবে, আপনি কত দ্রুত আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন তার ওপর। মূল্য পরিশোধ হলে আমরা ডিক্রিপশন টুল দেব আপনাদেরকে’।
যোগাযোগের জন্য যে ই-মেইল ঠিকানা হ্যাকাররা দিয়েছে সেটি হলো – RDProcovery@tutanota.com
তবে প্রতিষ্ঠানগুলোর আস্থার জন্য প্রথম তিনটি ফাইল বিনামূল্যে ডিক্রিপট করে দেওয়ার ঘোষণাও দিয়েছে হ্যাকাররা।
এদিকে তিনটি কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানের পর একটি দেশীয় ব্যাংক ও একই হ্যাকারগোষ্ঠীর হামলার শিকার হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। তবে এই বিষয়ে এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে বক্তব্য দেয়নি কেউ।
তানভীর হাসান জোহা এমন ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে প্রতিষ্ঠানগুলোতে তাদের সার্ভার বা তথ্যের ব্যাক-আপ রাখার পরামর্শ দেন। জোহা বলেন, র্যানসাম ওয়্যারের মাধ্যমে হ্যাকাররা তথ্য দখলে নিয়ে সেগুলো অ্যানক্রিপট করে ফেলে। এর ফলে সেই তথ্য মূল মালিকদের কাছে থাকলেও তারা সেগুলো কাজে লাগাতে পারেন না। তথ্য পড়া যায় না, মূলত কারণ সেগুলো হ্যাকারের নিজস্ব কোডিং ভাষায় অ্যানক্রিপট করা হয়। এমন অবস্থায় সেগুলো সেই হ্যাকার ছাড়া ডিক্রিপশন করা খুবই কষ্টসাধ্য, অনেক সময় পুরোপুরি রিকভার করা অসম্ভব হয়ে যায়। কাজেই এমন ঘটনার শিকার যেন কেউ না হন তার জন্য ব্যাক আপ রাখতে হবে।
বিএসডি/আইপি