নিজস্ব প্রতিবেদক,
ভাঙছে নেত্রকোনার মদন উপজেলার মগড়া নদী। এই ভাঙনে বিলীন হওয়ার পথে বাগজান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। বিদ্যালয়ের বাথরুমটি ইতোমধ্যে নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। যেকোনো মুহূর্তে নদীগর্ভে চলে যাবে বিদ্যালয়ের ভবনটিও, আশঙ্কা স্থানীয়দের।
বিদ্যালয় ভবনটি রক্ষার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে জোর দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মদন উপজেলার তিয়শ্রী ইউনিয়নের বাগজান গ্রামের মগড়া নদীর তীরের এই বিদ্যালয়টি ১৯৮৭ সালে স্থাপিত হয়। এর উত্তর পাশ দিয়েই বয়ে গেছে মগড়া নদী। পাহাড় থেকে নেমে আসা পানি এ নদী দিয়ে প্রবাহিত হয়। ফলে সারাবছরই ভাঙন থাকে। বর্ষা এলে এবং বর্ষার পানি নেমে যাওয়ার সময় ভাঙন তীব্র আকার ধারণ করে। এরই মধ্যে ভাঙনে বিদ্যালয়ের পিছনের অনেক অংশ এবং নির্মাণাধীন বাথরুম নদীগর্ভে হারিয়ে গেছে। এখন মারাত্মক হুমকির মুখে পড়েছে বিদ্যালয়ের ভবনটি। নদীর তীরে নেই কোনো বাউন্ডারি দেয়াল। ফলে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের নিয়ে শিক্ষক ও অভিভাবকরা সর্বদাই আতঙ্কে থাকেন।
স্থানীয় শিক্ষার্থীর অভিভাবক আমিনুল ইসলাম, রবিউল খান কনু, মাহমুদা আক্তার ও জাকির হোসেন রুবেল জানান, কয়েকটি গ্রামের প্রায় ৪-৫শ শিক্ষার্থী এ বিদ্যালয়ে লেখাপড়া করে। বর্তমানে বিদ্যালয় ভবনটির যে অবস্থা, তাতে যেকোনো সময় নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাবে। বিদ্যালয়টি রক্ষার জন্য কর্তৃপক্ষের নিকট জোর দাবি জানান তারা।
এ ব্যাপারে বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আনিছুর রহমান জানান, ভবনটি রক্ষার জন্য বিভিন্ন দপ্তরে আবেদন করেও কোনোরকম কাজ হচ্ছে না। নদীর পানি বাড়তে শুরু করেছে। ভাঙনের যে অবস্থা যেকোনো সময়ে নদীগর্ভে বিদ্যালয়ের ভবনটি হারিয়ে যেতে পারে।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হাবিবুর রহমান জানান, বিদ্যালয়ের ভবনটি রক্ষার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট জোর দাবি আমাদের। কর্তৃপক্ষ যেন দ্রুত এর ব্যবস্থা নেন।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আবুল হোসেন জানান, ভবনটি রক্ষার জন্য আমি সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্তপক্ষকে অবগত করেছি। কিন্তু এখন পর্যন্ত কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।
বিএসডি/আইপি