খেলাধূলা ডেস্ক:
বিশ্বকাপের আগে যে প্রস্তুতির জন্য দুবাই গিয়েছিল ক্রিকেটাররা, সে লক্ষ্য অনেকটাই পূরণ হয়েছে। সঙ্গে সিরিজ জয়ের প্রাপ্তি বাড়তি মাত্রা যোগ করেছে ক্রিকেটারদের মনোবল বৃদ্ধিতে। টি-টোয়েন্টি সিরিজে সংযুক্ত আরব আমিরাতকে হোয়াইটওয়াশ করে দেশে ফিরে এসব মন্তব্য করেছেন দায়িত্বপ্রাপ্ত অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান। মূল স্কোয়াড এবং স্ট্যান্ডবাই তালিকায় থাকা ক্রিকেটারদের নিয়ে ট্রাইনেশনেও পরীক্ষা করার ইচ্ছা আছে টাইগার ম্যানেজমেন্টের। কারণ, প্রয়োজন মনে করলে বদলে যেতে পারে স্কোয়াডের নামগুলো।
অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান বলেন, ‘লাস্ট কিছুদিন থেকে আমরা ক্লোজ কিছু ম্যাচ হারছিলাম, তো আমার মনে হয় এটা ভালো অভ্যাস আমরা উইনিং ট্রাকে ফিরছি। অবশ্যই এই কনফিডেন্সটা আমাদের ট্রাইনেশন ও ওয়ার্ল্ড কাপে কাজে দেবে।’
এই সিরিজের ফল কখনই মূখ্য ছিলোনা বাংলাদেশের কাছে। মূলত টিম কম্বিনেশন তৈরি এবং বিশ্বকাপের আগে দলগত প্রস্তুতিটাকেই পাখির চোখ করেছিলো ম্যানেজমেন্ট। সে হিসেব থেকে দুবাই পর্বকে লেটার মার্ক দিলেন অন্তর্বর্তীকালীন অধিনায়ক।
সোহান বলেন, ‘ওয়ার্ল্ড কাপের মতো বড় আসরের আগে এমন ক্যাম্প এবং ফ্যাসিলিটিজ অবশ্যই আমাদের সবার কনফিডেন্স অনেক বাড়িয়েছে। কারণ আমরা ওখানে পর্যাপ্ত প্র্যাকটিসের সুবিধা পেয়েছি। আমার মনে হয়, প্রিপারেশনটা অবশ্যই অনেক ভালো হয়েছে।’
দুই মাচেই স্কোয়াড নিয়ে পরীক্ষা চালিয়েছে বাংলাদেশ। ট্রাইনেশনেও নাকি বজায় থাকবে সে ধারাবাহিকতা। কারণ, আইসিসির নতুন নিয়ম মেনে প্রয়োজনে স্কোয়াড পরিবর্তন করতে হলে যেন প্রস্তুত পাওয়া যায় সবাইকে।
টাইগারদের অন্তর্বর্তীকালীন অধিনায়ক বলেন, ‘ওয়ার্ল্ড কাপে আমাদের মনে হয় ১৮-২০ জনের একটা স্কোয়াড আছে। তাই আমার মনে হয়, যে কারও সুযোগ আছে অন্তর্ভুক্ত হওয়ার। কারণ অনেক বড় টুর্নামেন্ট, তো আমার কাছে মনে হয়, সবার জন্যই অপরচুনিটি ওপেন। এটা টিম ম্যানেজমেন্টের প্ল্যান , কেননা নিউজিল্যান্ডে যাওয়ার পর আসলে সিচুয়েশন কেমন থাকে, সবকিছু বুঝেই ডিসিশন নেওয়া হবে।’
একদিনের বিশ্রাম শেষেই ত্রিদেশীয় সিরিজ খেলতে নিউজিল্যান্ডের উদ্দেশে দেশ ছাড়বে টিম বাংলাদেশ।
বিএসডি/কাফি