আর এই গোলেই বাছাইপর্বে ইংল্যান্ডের শতভাগ জয়ের রেকর্ডে ছেদ পড়ল। ইংল্যান্ডের রেকর্ডে ছেদ পড়লেও পোল্যান্ডের একটা রেকর্ড কিন্তু এখনো দিব্যি টিকে আছে। পোল্যান্ডের রাজধানী ওয়ারশের জাতীয় স্টেডিয়াম ২০১২ সালে তৈরি হওয়ার পর এ মাঠে মাত্র দুই ম্যাচে হেরেছে পোলিশরা, যার সর্বশেষ্টা এসেছিল ২০১৪ সালে, ইউক্রেনের বিপক্ষে। সাত বছর ধরে ঘরের মাটিতে হারে না পোল্যান্ড। ইংল্যান্ডও সে ধারার ব্যতিক্রম ঘটাতে পারল না।
নিজের জাতীয় স্টেডিয়ামকে যে পোলিশরা দুর্গ মনে করেন, সেটা বোঝা গেছে ডিফেন্ডার কামিল গ্লিকের কথায়, ‘মাঠটা আমাদের দুর্গ। মনে হয় এই মাঠে আমরা সর্বশেষ ২০১৩ সালে হেরেছি (আসলে ২০১৪)। এটা দুর্দান্ত এক রেকর্ড।’
ইংলিশরা গত ইউরোর ফাইনালিস্ট। ট্রফিটা জিতেই গিয়েছিল, পেনাল্টি-ভাগ্য সহায় হয়নি। কিন্তু তা সত্ত্বেও ইংলিশদের বিপক্ষে ভয় পায়নি পোল্যান্ড। দলের মিডফিল্ডার ইয়াকুব মোদার নিজেদের অকুতোভয় মানসিকতার বিষয়টাই তুলে ধরেছেন, ‘আমরা ইংলিশদের ভয় পাইনি। আমরা জানতাম ওরা মানসম্পন্ন, যার প্রমাণ ওরা দিয়েছে। আমরা শেষ পর্যন্ত লড়ে গিয়েছি। শেষমেশ নিজেদের জন্য একটা সুবিধাজনক ফল নিয়েই ম্যাচ শেষ করতে পেরেছি।’
ওদিকে ম্যাচে বিকল্প খেলোয়াড় না নামিয়ে আলোচনার জন্ম দিয়েছেন ইংলিশ কোচ গ্যারেথ সাউথগেট। যেখানে পোল্যান্ড পাঁচ বিকল্প খেলোয়াড় নামিয়ে শেষদিকে ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছিল, সেখানে বেঞ্চে ট্রেন্ট আলেক্সান্ডার-আরনল্ড, জর্ডান হেন্ডারসন, জুড বেলিংহাম ও প্যাট্রিক বামফোর্ডের মতো খেলোয়াড় থাকা সত্ত্বেও কাউকে নামাননি সাউথগেট। ম্যাচশেষে সাউথগেট নিজের সিদ্ধান্তকেই সমর্থন দিয়েছেন, ‘ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ আমাদের হাতে ছিল। এ অবস্থায় শুধু মাঠে নামানোর জন্য কাউকে নামানো যায় না।’
রাতের অন্যান্য ম্যাচে জার্মানি ৪-০ গোলে হারিয়েছে আইসল্যান্ডকে। একটি করে গোল করেছেন লিরয় সানে, টিমো ভের্নার, আন্তোনিও রুডিগার ও সার্জ নাব্রি। লেস্টার সিটির মিডফিল্ডার ডেনিস প্রায়েটের গোলে বেলারুশকে হারিয়েছে বেলজিয়াম। ফেরান তোরেস ও পাবলো ফোরনালসের গোলে কসোভোকে ২-০ গোলে হারিয়েছে স্পেন।
বিএসডি/এএ