জবি প্রতিনিধি:
বিশ্বসেরা গবেষক র্যাংকিংয়ে স্থান পেয়েছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) বিভিন্ন বিভাগের ৬৩ জন গবেষক। সম্প্রতি বিশ্বসেরা গবেষকদের নিয়ে প্রকাশিত এডি সায়েন্টিফিক ইনডেক্সে ২০২২-এ স্থান পান তারা।
এডি সায়েন্টিফিক ইনডেক্সের প্রকাশিত র্যাংকিংয়ে বাংলাদেশ থেকে স্থান পেয়েছেন মোট ১ হাজার ৮৬৮ জন গবেষক। তালিকায় জবি গবেষকদের মধ্যে প্রথম ও দেশের মধ্যে নবম স্থানে রয়েছেন পদার্থবিজ্ঞানের অধ্যাপক ড. মো. কামরুল আলম খান। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন সালেহ আহম্মেদ এবং তৃতীয় স্থানে গণিত বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. শরিফুল আলম।
ক্রমান্বয়ে তালিকায় স্থান পাওয়া অন্য শিক্ষকরা হলেন মোহাম্মদ মুশাররফ হোসাইন, রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সায়েদ আলম, অণুজীব বিজ্ঞান বিভাগের ড. সৈয়দা তাসনিম তৌহিদ, রসায়ন বিভাগের মোহাম্মদ আল মামুন, দেলোয়ার হোসাইন, পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের ড. মো. কুতুব উদ্দিন, জুলফিকার মাহমুদ, পরিসংখ্যান বিভাগের আতিকুল ইসলাম, পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. নূরে আলম আব্দুল্লাহ, রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ লোকমান হোসাইন, ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের ড. মোহাম্মদ আল-আমীন হক, রসায়ন বিভাগের রাজিবুল আকন্দ, উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের ড. মোহাম্মদ আলী, জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড বায়োটেকনোলজি বিভাগের ড. মো. জাহিদ হাসান, রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক ড. আবুল কালাম মো. লুৎফর রহমান, একই বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. শাহজাহান, সহযোগী অধ্যাপক ড. জয়ন্ত কুমার সাহা। এ ছাড়া তালিকায় ক্রমানুসারে পরবর্তী সময়ে রয়েছেন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আব্দুল বাকী, ফার্মেসি বিভাগের ড. মঈনুল হাসান, কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সজল হালদার, ফার্মেসি বিভাগের সায়েমা খানম, সিএসই বিভাগের সজীব সাহা, ফার্মেসি বিভাগের ড. বিশ্বজিৎ কুমার বিশ্বাস, প্রাণরসায়ন ও অণুপ্রাণ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. লাইসা আহমদ লিসা, অণুজীব বিজ্ঞান বিভাগের শান্তনু কুমার সান্যাল, ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের অধ্যাপক ড. মল্লিক আকরাম হোসেন, ফিন্যান্স বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ছগীর হোসেন খন্দকার, পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের আব্দুল্লা আল-মমিন, গণিত বিভাগের অধ্যাপক ড. সরোয়ার আলম, পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. পরিমল বালা এবং জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অণুজীব বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী রিওন তানভীর। এ ছাড়া আল হাকিম, রসায়ন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. ইলিয়াস, সিএসই বিভাগের ড. মনোয়ারুল ইসলাম, ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের মোহাম্মদ আব্দুল কাদের, উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. কাজী সাখাওয়াত হোসেন, উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের ড. এ এম এম গোলাম আদম, গণিত বিভাগের শরাবান তোহুরা, ফিন্যান্স বিভাগের মো. হাছিবুল হাসান, ফিন্যান্স বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ বায়েজিদ আলী, জিইবির মো. ইকরামুল করিম, ফার্মেসি বিভাগের মো. রাজদৌলা রাফি, ফার্মেসি বিভাগের ড. সুকুমার ব্যাপারী, গণিত বিভাগের ড. মোস্তাক আহমেদ, ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের ড. মো. মিরাজ হোসেন, পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের তাপস চন্দ্র পাল, অণুজীব বিজ্ঞান বিভাগের সোহানা আল সানজী প্রমুখ।
‘যারা বিভিন্ন ধরনের গবেষণা করেছেন কিন্তু গবেষণাপত্র অনলাইনে আপলোড করেনি তাদের নাম আসেনি। আমরা আশাবাদী, আগামীতে এই সংখ্যা অনেক বাড়বে।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. ইমদাদুল হক নিউজবাংলাকে বলেন, ‘এটা অত্যন্ত খুশির সংবাদ যে, বিশ্বসেরা গবেষণায় আমাদের এত শিক্ষক স্থান পেয়েছেন। এরই মধ্যে আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা কার্যক্রম আরও গতিশীল করতে বেশ কয়েকটি সংস্থার সঙ্গে চুক্তি করেছি। আগামীতে গবেষণায় আরও ভালো ফল আসবে এবং মান আরও উন্নত হবে বলে আশা করছি।’
র্যাংকিংয়ে ১২টি ক্যাটাগরিতে বিশ্বের ২০৬টি দেশের গবেষকদের তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। এতে ৭ লাখ ১৩ হাজার ৬৪৫ জন গবেষক স্থান পেয়েছেন। সায়েন্টিফিক ইনডেক্স গবেষকদের গুগল স্কলারের রিসার্চ প্রোফাইলের গত পাঁচ বছরের গবেষণার এইচ ইনডেক্স, আইটেন ইনডেক্স এবং সাইটেশন স্কোরের ভিত্তিতে র্যাংকিংয়ের তালিকা প্রকাশ করা হয়।
এবার ১২টি ক্যাটাগরিতে র্যাংকিংয়ের তালিকা প্রকাশ করেছে এডি সায়েন্টিফিক ইনডেক্স। এতে বিশ্বের ২১২টি দেশের মোট ৭ লাখ ১১ হাজার ৫৬৮ জন গবেষকের তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়, বিষয়, দেশ, ধর্ম ও বিশ্ব অনুযায়ী এ তালিকা দেয়া হয়।
বিএসডি/জেজে