আন্তর্জাতিক ডেস্ক
ভারতীয় পার্লামেন্টের চার শতাধিক কর্মী একসঙ্গে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। দেশটির বাজেট অধিবেশনের আগে করা পরীক্ষায় তারা করোনায় আক্রান্ত বলে শনাক্ত হন। ভারতীয় পার্লামেন্ট ও দেশটির কেন্দ্রীয় সরকারের সূত্রের বরাত দিয়ে রোববার (৯ জানুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা এএনআই এবং সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।
পার্লামেন্টের একটি সূত্রের বরাত দিয়ে সংবাদমাধ্যমগুলো বলছে, আসন্ন বাজেট অধিবেশ উপলক্ষে পার্লামেন্টের মোট ১ হাজার ৪০৯ জনের করোনা পরীক্ষা করা হয়। এর মধ্যে ৪০২ জনের রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। তবে তাদের মধ্যে কেউ ভাইরাসের অতিসংক্রামক ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রনে আকান্ত কি না, সেটি জানা যায়নি।
সূত্রটির দাবি, ‘গত ৪ জানুয়ারি থেকে ৮ জানুয়ারির মধ্যে করা করোনা পরীক্ষার রিপোর্টে ৪০২ জনের ফলাফল পজিটিভ আসে। পরে জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ের জন্য আক্রান্তদের নমুনা পাঠানো হয়েছে।’
সংবাদমাধ্যমগুলো বলছে, করোনায় আক্রান্ত ৪০২ জনের মধ্যে লোকসভার ২০০ জন এবং রাজ্যসভার ৬৯ জনের করোনা রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। এছাড়া পার্লামেন্টে কর্মরত আরও ১৩৩ জন কর্মচারির রিপোর্টও পজিটিভ আসে।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, পার্লামেন্ট ভবনের মধ্যে যেসব কর্মকর্ত-কর্মচারী দায়িত্বপালন করেন, তাদের মধ্যেই ৪০২ জন করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন। অন্যদিকে পার্লামেন্ট ভবনের বাইরে দায়িত্বপালনকারী কর্মীদের মধ্যে ঠিক কতজন ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন সেটি ওই তালিকায় উল্লেখ করা হয়নি।
উল্লেখ্য, সাধারণত প্রতি বছর জানুয়ারি মাসের শেষ সপ্তাহে ভারতীয় পার্লামেন্টে বাজেট অধিবেশন শুরু হয়। এমনিতেই ক্ষমতাসীন বিজেপিসহ বিরোধী দলগুলোর বহু আইনপ্রণেতা ইতোমধ্যেই করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। আর এই পরিস্থিতিতে পার্লামেন্টের এতো বিপুল সংখ্যক কর্মী ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ায় উদ্বেগ দেখা দিয়েছে।
ভারতে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বাড়ছে লাফিয়ে লাফিয়ে। দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় ভারতে নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এক লাখ ৫৯ হাজার ৬৩২ জন। যা শনিবারের তুলনায় ১২ শতাংশেরও বেশি।
এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় দক্ষিণ এশিয়ার এই দেশটিতে করোনার সংক্রমণে মারা গেছেন ৩২৭ জন। রোববার ভারতে দৈনিক সংক্রমণের হার বেড়ে হয়েছে ১০ দশমিক ২১ শতাংশ। গত ২ জানুয়ারি এই হার ছিল তিন শতাংশেরও নিচে। সেখানে মাত্র এক সপ্তাহের মধ্যে পুরো চিত্রটা বদলে গেছে।
বিএসডি/এসএ