খেলাধূলা প্রতিনিধি:
ম্যাচের শুরুতে এগিয়ে যায় রিয়াল বেতিস। কিন্তু পাল্টা জবাব দিতে খুব বেশি সময় নেয়নি ভালেন্সিয়া। এরপর নির্ধারিত সময় পেরিয়ে অতিরিক্ত ৩০ মিনিটেও স্কোরলাইনে সমতা। শেষ পর্যন্ত টাইব্রেকারে তৈরি হলো ব্যবধান। ভালেন্সিয়াকে হারিয়ে দীর্ঘ ১৭ বছর পর কোপা দেল রে চ্যাম্পিয়ন হলো বেতিস।
সেভিয়ায় শনিবার (২৩ এপ্রিল) রাতের ফাইনালে বোরহা ইগলেসিয়াসের গোলে বেতিস এগিয়ে যাওয়ার পর সমতা টানেন হুগো দুরো। নির্ধারিত ও অতিরিক্ত সময় ১-১ সমতায় শেষ হয়। পরে টাইব্রেকারে ৫-৪ ব্যবধানে জিতে শিরোপা উৎসব শুরু করে বেতিস।
টাইব্রেকারে বেতিসের পাঁচ শটের সবকটিই পায় জালের দেখা। বিপরীতে ভালেন্সিয়ার চারটি শটে গোল হয়। তাদের চতুর্থ শট নিতে এসে উড়িয়ে মারেন যুক্তরাষ্ট্রের উইঙ্গার ইউনুস মুসাহ। ফলে বেতিসের শেষ শট নেওয়া হুয়ান মিরান্দা লক্ষ্যভেদ করলেই শিরোপা নিশ্চিত হয়ে যায়। এই নিয়ে তৃতীয়বার কোপা দেল রের শিরোপা জিতল বেতিস। আগের দুইবার জিতেছিল ১৯৭৭ ও ২০০৫ সালে।
ম্যাচের প্রথম একাদশ মিনিটে ম্যাচের প্রথম উল্লেখযোগ্য সুযোগ পেয়েই এগিয়ে যায় বেতিস। ডান দিক দিয়ে আক্রমণে উঠে এক্তর বেইয়েরিন ক্রস বাড়ান ছয় গজ বক্সের মুখে। আর দারুণ হেডে বল জালে পাঠান ইগলেসিয়াস। ৩০তম মিনিটে ভালেন্সিয়াও প্রথম সুযোগ পেয়ে সমতা টানে। প্রতি-আক্রমণে সতীর্থের থ্রু পাস ধরে ডি-বক্সে ঢুকে চিপ শটে আগুয়ান গোলরক্ষকের ওপর দিয়ে বল জালে পাঠান দুরো। বিরতির আগে আবার এগিয়ে যেতে পারত বেতিস। তবে সের্হিও কানালেসের শট পোস্টে বাধা পায়।
দ্বিতীয়ার্ধেও লড়াই চলে জমজমাট। দুই দলই দারুণ কয়েকটি সুযোগ পায়। ৭৮তম মিনিটে আরেক দফা দুর্ভাগ্য বাঁধ সাধে বেতিসের সামনে। এবার হুয়ানমির শট পোস্টে লাগে। বেতিসের নাবিল ফেকির ও ভালেন্সিয়ার কার্লোস সলের সুবর্ণ সুযোগ পেয়েও কাজে লাগাতে পারেননি। ফলে ম্যাচ গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। ৩০ মিনিটের এই লড়াইয়ে অবশ্য কেউই তেমন উল্লেখযোগ্য কিছু করতে পারেনি। টাইব্রেকারেও লড়াই হলো দারুণ। কিন্তু একমাত্র ভুলটা করে বসলেন মুসাহ। সুযোগ কাজে লাগিয়ে চ্যাম্পিয়ন হলো লা লিগার পয়েন্ট টেবিলে পাঁচ নম্বর দল বেতিস।
২০০৪-০৫ মৌসুমের সেই কোপা দেল রে জয়ের পর এই প্রথম মেজর কোনো শিরোপা জিতল দলটি। স্পেনের দ্বিতীয় সেরা এই প্রতিযোগিতায় ২০১০ সালের পর দ্বিতীয়বারের মতো বার্সেলোনা কিংবা রিয়াল মাদ্রিদকে ছাড়া হলো কোনো ফাইনাল। কাতালান দলটি এবার বিদায় নেয় শেষ ষোলো থেকে, মাদ্রিদের দলটি ছিটকে পড়ে কোয়ার্টার-ফাইনাল থেকে।
বিএসডি/ এমআর