নিজস্ব প্রতিবেদক
স্বাভাবিকভাবে মানুষের জন্মদিন একটি থাকলেও বিএনপির চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার ছয়টি জন্মদিনের কথা জানে দেশবাসী। বিশেষ করে জাতীয় শোক দিবসে (১৫ আগস্ট) তার ‘কাল্পনিক জন্মদিন’ পালন আওয়ামী লীগের অনুভূতিতে চরম আঘাত দিয়ে বিএনপির রাজনৈতিক প্রতিহিংসারই অংশ বলে মন্তব্য দেশের বিশিষ্টজনদের।
তাদের মতে, পায়ে পা বাধিয়ে ঝগড়া করতে পটু বিএনপি নেতারা। সে জন্য সপরিবারে জাতির পিতাকে হারানোর দিনে খালেদা জিয়া উল্লাস করে জন্মদিন পালন করেন। নেতাকর্মীরাও তাদের নেত্রীর ভুয়া জন্মদিন পালন করেন ঘটা করে, যা নিঃসন্দেহে নিন্দনীয়। ন্যক্কারজনকও বটে।
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বাঙালি জাতির জীবনে নেমে আসে চরম আঘাত। এদিন জাতির পিতাকে সপরিবারে হত্যা করে চক্রান্তকারীরা। অথচ সেই দিনটিকেই ‘পলিটিক্যাল গেম’ খেলার দিন হিসেবে বেছে নেয় বিএনপি। দিনটিকে দলীয় নেত্রীর ‘জন্মদিন’ বলে ঘোষণা দিয়ে শুরু করে প্রতিহিংসাপরায়ণ রাজনীতির চর্চা। আওয়ামী লীগসহ পুরো দেশবাসী যখন শোকে পাথর তখনই বিএনপি নেতারা কেক কেটে পালন করেন খালেদার ‘ভুয়া জন্মদিন’।
বিশ্বস্ত সূত্র জানায়, এ বছর কেক কাটা না হলেও বিএনপি চেয়ারপার্সনকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানিয়েছেন দলটির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা। ১৫ আগস্ট বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর রাজধানীর গুলশানে দলীয় প্রধানের বাসভবন ফিরোজায় ফুলের তোড়া পৌঁছে দেন। পরবর্তীতে দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারাও পৃথকভাবে তার বাসায় ফুল দিয়ে আসেন। তবে ‘আপ্যায়নের ভয়ে’ খালেদা তাদের সঙ্গে দেখাই করেননি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক বিএনপি নেতা জানান, প্রয়াত বিএনপিপন্থী বুদ্ধিজীবী ড. এমাজউদ্দীন আহমেদের পরামর্শে ৯০ এর দশক থেকে এইদিনে জন্মদিন পালন করে আসছেন বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া। কিন্তু বিষয়টি নিয়ে প্রায়শই তুমুল সমালোচনা হওয়ায় এবার দোয়া মাহফিলের মাধ্যমে দলীয় নেত্রীর জন্মদিন পালন করা হয়েছে। কেক কাটার মতো কর্মসূচি পালন করা হয়নি।
বিএসডি/এমএম