আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
আফগানিস্তানের পূর্বাঞ্চলের দুই প্রদেশে গত ২০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ ভূমিকম্পে বিধ্বস্ত এলাকাগুলোতে সীমিত পরিসরে ত্রাণ তৎপরতা চলছে। ধ্বংসস্তূপে পরিণত হওয়া অনেক এলাকায় পৌঁছতে রীতিমতো লড়াই করতে হচ্ছে উদ্ধারকর্মীদের।
প্রতিটি পরিবারই তাদের কোনো না কোনো সদস্যকে হারিয়েছে। ওইসব এলাকার বাড়িঘর ও স্বজন হারানো মানুষ স্বাভাবিক জীবনে ফেরার চেষ্টা করছেন। এদিকে পাকিস্তান ও কাতারের পাঠানো ত্রাণসামগ্রীবাহী একাধিক কার্গো বিমান দেশটির খোস্ত বিমানবন্দরে অবতরণ করেছে বলে শনিবার জানিয়েছেন আফগান কর্মকর্তারা। খবর এএফপির।
বুধবার দেশটির পাকতিকা এবং খোস্ত প্রদেশে ৫ দশমিক ৯ মাত্রার ভূমিকম্পে এখন পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ১ হাজার ১৫০ জনের আর আহত প্রায় ২ হাজার। গৃহহীন হয়েছে হাজার হাজার মানুষ। অনেক এলাকা বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন, খাদ্য ও পানীয়র জন্য হাহাকার চলছে।
আফগানিস্তানে জাতিসংঘের শিশু সংস্থার প্রতিনিধি জানিয়েছেন, ভূমিকম্পে ১২১ শিশুর মৃত্যু হয়েছে, এই সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। পাকতিকা প্রদেশের মানুষ খাদ্য, আশ্রয় এবং পানীয় জলের জন্য অবর্ণনীয় কষ্টে দিন কাটাচ্ছে। কারণ, দুর্বল অবকাঠামোর পাশাপাশি তালেবানের নেতৃত্বে আফগান সরকারের কূটনৈতিক ও আর্থিক বিচ্ছিন্নতার কারণে মানবিক সহায়তাও কমে গেছে।
ত্রাণ সহায়তা পাঠানো আফগানিস্তানে পাকিস্তানের রাষ্ট্রদূত বলেছেন, এই কঠিন সময়ে আফগান ভাইদের সাহায্য করা আমাদের কর্তব্য ছিল। তাই সহায়তা পাঠানো হয়েছে।
বিএসডি/ফয়সাল