আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
উত্তর আমেরিকার দেশ কানাডার পশ্চিমাঞ্চলীয় প্রদেশ ব্রিটিশ কলাম্বিয়ায় জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে। ভয়াবহ বন্যা ও ঝড়ের কারণে প্রদেশটির সড়ক ও রেল যোগাযোগ কার্যত বন্ধ হয়ে গেছে। এই পরিস্থিতিতে স্থানীয় সময় বুধবার (১৭ নভেম্বর) ব্রিটিশ কলাম্বিয়ার প্রধান এই জরুরি অবস্থা জারি করেন।
বৃহস্পতিবার (১৮ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম বিবিসি ও আলজাজিরা। এছাড়া বন্যাদুর্গত ও আটকে পড়াদের উদ্ধার করতে বিমান বাহিনী পাঠানোর ঘোষণা দিয়েছে দেশটির ফেডারেল সরকার।
এছাড়া ওয়াশিংটন ডিসিতে সফরের সময় কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, পুনর্গঠন কর্মকাণ্ডে সেনা সদস্যরা সহায়তা করবে।
এদিকে বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে ব্রিটিশ কলাম্বিয়ায় জরুরি অবস্থা জারির ঘোষণা দেন প্রাদেশিক প্রধান জন হরগান। স্থানীয় সময় দুপুর ১২টা থেকে এই ঘোষণা কার্যকরের ঘোষণা দিয়ে সেখানে তিনি জানান, জরুরি অবস্থার কারণে মানুষ বন্যা কবলিত এলাকা ও রাস্তায় যাওয়া থেকে বিরত থাকবে এবং একইসঙ্গে ক্ষতিগ্রস্তদের কাছে প্রয়োজনীয় সহায়তাও পৌঁছানো নিশ্চিত করা যাবে।
জন হরগান বলেন, ‘গত সপ্তাহান্তের ঝড় ও বৃষ্টিতে কার্যত সবাই প্রভাবিত হয়েছেন বা এখনও হচ্ছেন। মানব সৃষ্ট জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে এই ধরনের ঘটনা বৃদ্ধি পাচ্ছে।’
এদিকে বন্যা ও ভূমিধসের কারণে ব্রিটিশ কলাম্বিয়ায় এখন পর্যন্ত একজন নিহত হয়েছেন। এছাড়া আরও দুইজন নিখোঁজ রয়েছেন। ভূমিধসের ফলে কাদা ও পাথরের স্তুপ ছড়িয়ে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে সেখানকার বেশিরভাগ সড়ক। অনেক জায়গায় ভেঙে পড়েছে যোগাযোগ সেতুও।
বুধবার আটকে পড়াদের কাছে হেলিকপ্টার ব্যবহার করে খাবার পৌঁছে দেওয়া হয়। এছাড়া দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত তুলামিন শহরে আটকা পড়েছেন প্রায় ৪০০ মানুষ।
গত মঙ্গলবার এক প্রতিবেদনে বার্তাসংস্থা এএফপি জানায়, ভূমিধসের ফলে কাদা ও পাথরের স্তুপ ছড়িয়ে সড়কের সম্মুখ ও পেছনভাগ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় আগাসিজের একটি মহাসড়কে সোমবার রাত থেকে গাড়িতে অন্তত ২৭৫ জন মানুষ আটকা পড়েন। পরে তাদেরকে উদ্ধার করা হয়।