তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিপেস তাইয়্যিপ এরদোগান বলেছেন, সাইপ্রাসের মসজিদে হামলার সমুচিত জবাব দেওয়া হবে।
গত বুধবার দক্ষিণ গ্রিক সাইপ্রাসের লারনাকা শহরের একটি মসজিদে এক যুবক আগুন ধরিয়ে দেন। এই ঘটনায় স্থানীয় প্রশাসন ইতোমধ্যে সন্দেহভাজন এক ব্যক্তিকে আটক করেছে।
আল জাজিরার খবরে বলা হয়েছে, তুর্কি প্রেসিডেন্ট এরদোগান দুই দিনের সফরে কাতার সফর যাচ্ছেন। কাতার সফরের আগে সাংবাদিকদের তিনি সাইপ্রাসের মসজিদে হামলা নিয়ে কথা বলেন।
তুর্কি এই প্রেসিডেন্ট বলেন, দুর্ভাগ্যজনকভাবে দক্ষিণ সাইপ্রাসে আমাদের মসজিদে আক্রমণের চেষ্টা করা হয়েছে। এই আক্রমণ বিনা জবাবে থাকবে না। হামলার সমুচিত জবাব দেওয়া হবে।
হামলার বিষয়ে এরদোগান বলেন, আমরা দক্ষিণ সাইপ্রাসকে এটা বলতে চাই, আমাদের প্রার্থনার জায়গায় এ ধরনের নাশকতামূলক কাজ করবেন না। এ ধরনের কাজের জন্য আপনাদের অবশ্যই চড়া মূল্য দিতে হবে।
১৯৭৪ সালে একটি সামরিক অভ্যুত্থানকে সামনে রেখে তুরস্ক সাইপ্রাসে হানা দেয়। এতে সাইপ্রাস দুইভাগে বিভক্ত হয়ে যায়। দক্ষিণে গ্রিক সাইপ্রাস আর উত্তরে তুর্কি সাইপ্রাস। উত্তরের তুর্কি সাইপ্রিটকে তুরস্ক স্বাধীনত রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। তবে বিশ্বের অন্য কোনো দেশ তুর্কি-সাইপ্রাসকে স্বাধীন দেশ হিসেবে স্বীকৃতি দেয়নি।
দক্ষিণ সাইপ্রাসে হামলার ঘটনায় রোববার তুরস্কের পররাষ্ট্র মন্ত্রী বলেন, এটা শুধু মুসলিমদের ওপর নয়, এটা মানব জাতির সাধারণ (কমন) মূল্যবোধের ওপর আক্রমণ। কিছু চক্র শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান থেকে কতটা দূরে হামলার ঘটনা সেটি প্রকাশ করেছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
এদিকে তুর্কি সাইপ্রাসের নেতা এরসিন তাতারও দক্ষিণ সাইপ্রাসের মসজিদে হামলার ঘটনায় নিন্দা জানিয়েছেন। গ্রিক সাইপ্রাসকে ভবিষ্যতে এ ধরনের হামলা প্রতিরোধে আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
এ ঘটনায় স্থানীয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ২৭ বছর বয়সী সিরিয়ার এক যুবককে আটক করেছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক প্রশাসনের কর্মকর্তা বলছেন, গ্রেফতারকৃত ব্যক্তি ইমামের কাছে মসজিদে রাত কাটানোর অনুমতি চেয়েছিল। কিন্তু ইমাম অনুমতি না দেওয়ায় গ্রিক ভাষার সংবাদপত্রে আগুন লাগিয়ে তিনি মসজিদ জ্বালিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেন। মসজিদটিতে পত্রিকা দিয়ে আগুন ধরানোর ফলে কাঠের দরজা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। গ্রেফতারকৃত যুবকের বিরুদ্ধে অগ্নিসংযোগের অভিযোগ আনা হয়েছে।
সূত্র: আল জাজিরা
বিএসডি/এলএল