খেলাধূলা প্রতিনিধি:
একের পর এক শীর্ষ খেলোয়াড়দের হারিয়ে নিজেকে যেন আলাদাভাবে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার নেশায় মত্ত হয়ে উঠেছেন স্পেনের ১৯ বছর বয়সী তরুণ টেনিস তারকা কার্লোস আলকারাজ। গতকাল রবিবার মাদ্রিদ ওপেনে তার শিকারে পরিণত হয়েছেন জার্মান তারকা আলেক্সান্দার জেভরেভ। ফাইনালে মাত্র ৬২ মিনিটের লড়াইয়ে আলকারাজ ৬-৩, ৬-২ গেমের সরাসরি সেটে জেভরেভকে পরাজিত করে শিরোপা জিতেছেন। এ নিয়ে টানা ১০ ম্যাচে জয়ের ধারা ধরে রাখলেন তরুণ এই স্প্যানিয়ার্ড।
এর আগে ফাইনালের পথে তিনি একে একে হারিয়েছেন রাফায়েল নাদাল ও বিশ্বের নাম্বার ওয়ান খেলোয়াড় নোভাক জকোভিচকে। নাদালের বিপক্ষে দুই ঘন্টা ২৮ মিনিট ও জকোভিচের বিপক্ষে ৩ ঘন্টা ৩৬ মিনিটের লড়াইয়ে জয়ী হয়েছেন আলকারাজ। ক্লে কোর্টের প্রথম এই শিরোপা জয়ে আলকারাজ বিশ্ব র্যাংঙ্কিংয়ের ৬ নম্বর স্থানে উঠে এসেছেন। অথচ গত বছর এই টুর্নামেন্টের আগে তার র্যাংকিং ছিল ১২০তম।
কাল ম্যাচ শেষে দারুন আত্মবিশ্বাসী আলকারাজ বলেছেন, ‘এই টুর্নামেন্টটা আমার কাছে বিশেষ কিছু। কারন সাত/আট বছর বয়সে আমি এখানে আসতাম খেলা দেখতে।’ জার্মান দ্বিতীয় বাছাই জেভরেভও আলকারাজের প্রশংসা করতে ভুল করেননি, ‘এই মুহূর্তে আলকারাজই বিশ্বের সেরা খেলোয়াড়। এমনকি আমার থেকে পাঁচ বছরের ছোট হলেও সে আমাদের সবাইকেই পরাজিত করেছে। ‘
জেভরেভ টানা নয়টি ম্যাচে জয়ী হয়ে মাদ্রিদে খেলতে এসেছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তরুণ আলকারাজের কাছে তিনি থামতে বাধ্য হলেন। প্রথম সেটে ষষ্ঠ গেমেই ব্রেক পয়েন্ট তুলে নিয়ে সহজেই এগিয়ে যান আলকারাজ। দ্বিতীয় সেটের প্রথম গেমে জয়ী হলেও পরের পাঁচ গেমেই হেরে বসেন জেভরেভ। পরের গেমে আলকারাজ ৪০-০ পয়েন্টে এগিয়ে থাকলেও জেভরেভ তিনটি ম্যাচ পয়েন্ট সেভ করেন। কিন্তু ডাবল ফল্টের কারণে আবারো ম্যাচটি ডিউস হয়। জার্মান তারকা তিনটি ম্যাচ পয়েন্ট সেভ করলেও পঞ্চম ডাবল ফল্টের কারণে আলকারাজকে শিরোপা উপহার দেন।
এই জয়ের পর আলকারাজের মূল লক্ষ্য এখন ফ্রেঞ্চ ওপেন। ক্যারিয়ারে দ্বিতীয় মাস্টার্স ১০০০ শিরোপা জয়ের পর সংবাদ সম্মেলনে আলকারাজ বলেছেন, ‘গ্র্যান্ড স্ল্যাম জয়ের লক্ষ্য নিয়েই আমি প্যারিসে যেতে চাই। গ্র্যান্ড স্ল্যামে নিজেকে প্রমানের জন্য মুখিয়ে আছি। সবাই হয়তবা আমাকে ফেবারিট হিসেবে বিবেচনা করবে, কিন্তু আমি সেটাকে এগিয়ে যাবার অনুপ্রেরনা হিসেবে ধরে কোর্টে নামব। ‘
বিএসডি/ এমআর