স্পোর্টস ডেস্ক
সেই বিশ্বকাপ থেকে শুরু, এরপর পাকিস্তান সিরিজেও বাংলাদেশের পারফর্ম্যান্স ছিল তথৈবচ। শেষ টেস্টে তিন দিনেই হেরেছিল বাংলাদেশ। সেই সব ব্যর্থতার কারণে সমালোচনাও হয়েছিল বেশ। সঙ্গে যোগ হয়েছিল সাকিব আল হাসান, তামিম ইকবালদের মতো ক্রিকেটারের অনুপস্থিতিও।
সেই ব্যর্থতা, সমালোচনা, তারকাদের না থাকা নিয়ে সৃষ্ট শঙ্কাকে তাসমান সাগরে ভাসিয়ে বাংলাদেশ হারিয়ে দিয়েছে নিউজিল্যান্ডকে। এমন এক কীর্তি এসেছে অধিনায়ক মুমিনুল হকের অধীনে। বাংলাদেশের সাবেক অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা তাই এই জয়ের কৃতিত্বের পুরোটা দিলেন অধিনায়ক মুমিনুলকেই।
মাশরাফির মতে, অনেকটা অপ্রস্তুত অবস্থাতেই অধিনায়কত্ব পেয়েছিলেন মুমিনুল। সেই থেকে এই নিউজিল্যান্ডের মাটিতে জয়, সে কারণেও এই মিডল অর্ডার ব্যাটারকে কৃতিত্ব দিলেন ম্যাশ। বললেন, ‘মুশফিককে সরানোর পর সাকিব আসলো, তারপর সাকিব ছিল না তখন মুমিনুলকে করা হল। আমি জানি না মুমিনুলও তখন প্রস্তুত ছিল কি না। তারপর এত সমালোচনা এতকিছু। ওখান থেকে দলটাকে গুছিয়ে এনে ও এত বড় একটা জয় এনে দিয়েছে। পরে কি হবে এটা পরের ব্যাপার। কিন্তু তাকে কৃতিত্ব দিতেই হবে।’
বাংলাদেশের এই জয়ের পর আলোচনা হয়েছে সাকিব আল হাসান ও তামিম ইকবালদের না থাকা নিয়েও। সাকিব ব্যক্তিগত কারণে এই সিরিজে খেলছেন না। আর তামিম ইকবালের আঙুলের চোট এই সিরিজ থেকে ছিটকে দিয়েছে তাকে। তাদের অনুপস্থিতিতে দলকে অনুপ্রাণিত করার গুরুদায়িত্বটা ছিল অধিনায়ক মুমিনুলের কাঁধে। বাংলাদেশের টেস্ট অধিনায়ক সেটা পালন করেছেন ভালোভাবেই, মনে হচ্ছে মাশরাফির।
বললেন, ‘এখন দলে যারা আছে, বাইরে থেকে দেখছি সাকিব তাম্নিম নেই মানে দলের অর্ধেক নেই। কিন্তু সে এই দলকেই বুস্ট আপ করেছে। এটা দারুণ ব্যাপার। মুশফিকও ওকে হেল্প করছে। পুরো কৃতিত্ব মুমিনুলকেই দেওয়া উচিৎ।’
মাউন্ট মঙ্গানুইয়ে এই বিশাল জয়ের পর বাংলাদেশের সামনে এবার কঠিন পরীক্ষাই অপেক্ষা করছে। ক্রাইস্টচার্চের হ্যাগলি ওভালে আগামী ৯ জানুয়ারি দ্বিতীয় টেস্টে মাঠে নামবে মুমিনুলের দল।
বিএসডি/এসএ