নিজস্ব প্রতিনিধি,
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘সংকটে দায়িত্বশীল রাজনৈতিক দলের ভূমিকা পালনের চরম ব্যর্থতা আড়াল করতে মিথ্যাচারই এখন বিএনপির একমাত্র অবলম্বন।’ তিনি বলেন, ‘বিএনপি নেতারা জনগণের পাশে দাঁড়ানোর অক্ষমতা ঢাকতেই সরকারের বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করছে।’
বৃহস্পতিবার (২৯ জুলাই) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে দলটির ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ উপ-কমিটির উদ্যোগে স্বাস্থ্যসুরক্ষা সামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
বাংলাদেশে এতগুলো রাজনৈতিক দল, অথচ কেবল আওয়ামী লীগ এখন সরেজমিনে অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে, দাবি করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘একটি দল ঘরে বসে লিপ সার্ভিস দিচ্ছে। কিন্তু, জনগণ এখন লিপ সার্ভিস চায় না।‘
আওয়ামী লীগ বিএনপির মতো কথাসর্বস্ব রাজনৈতিক দল নয়, উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘নিজের সবকিছু নিয়ে অকাতরে মানুষের পাশে দাঁড়ায় বলেই জনগণ আওয়ামী লীগকেই বিপদে বন্ধু মনে করেন।’
করোনার ভ্যাকসিন বিষয়ে বিএনপির মন্তব্য প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘বাংলাদেশে যে পরিমাণ ভ্যাকসিন প্রয়োজন, সে পরিমাণ ভ্যাকসিন আসে এবং বিভিন্ন দেশ থেকে পর্যায়ক্রমে ভ্যাকসিন আসবে।’ ভ্যাকসিন নিয়ে কোনো সংকট হবে না বলেও আশা প্রকাশ করেন ওবায়দুল কাদের।
সবাইকে মাস্ক পরার আহ্বান জানিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘ভ্যাকসিনের চেয়েও কার্যকর হচ্ছে মাস্ক।’
উপ-কমিটির নেতাদের একাধিক টিম করে বিভিন্ন পাড়া-মহল্লায় জনগণকে সঠিকভাবে মাস্ক পরিধানে উৎসাহিত করার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। তিনি ঘরে ঘরে সচেতনতার দুর্গ গড়ে তোলার আহ্বান জানান।
এমপি-মন্ত্রীদের সম্পদের হিসাব নেওয়ার বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শতভাগ সততা ও স্বচ্ছতার সাথে সরকার পরিচালনা করছেন। অনিয়ম-দুর্নীতির বিরুদ্ধে সরকারের অবস্থান অত্যন্ত কঠোর এবং স্পষ্ট।‘
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘এমপি-মন্ত্রীসহ কেউই জবাবদিহিতার ঊর্ধ্বে নন। স্বাধীন সংস্থা হিসেবে দুদক যেকোনো অপরাধের বিরুদ্ধে তদন্ত করে ব্যবস্থা নিতে পারে।’
ইতোমধ্যে অনেক নেতাকর্মী এবং এমপির বিরুদ্ধে দুদক ব্যবস্থা নিয়েছে, সরকার কাউকে রক্ষা করতে যায়নি, উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘দুর্নীতি-অনিয়মের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে দুদকের ওপর সরকারের পক্ষ থেকে কোনো হস্তক্ষেপ বা বাধা নেই।’
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘সম্পদের হিসাব বিবরণী দাখিলে আমাদের কারও আপত্তি থাকার কথা নয়। আমি নিজেও সম্পদের হিসাব দিতে প্রস্তুত।’
প্রতিবছর আয়কর রিটার্নের মাধ্যমেও সম্পদের হিসাব দেওয়া হয়। সে হিসাব বা ট্যাক্স দেওয়ার ক্ষেত্রে গড়মিল থাকলে তা দুদক তদন্ত করে দেখতে পারবে বলে জানান ওবায়দুল কাদের।
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন সভাপতিমণ্ডলীর আরেক সদস্য আবদুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন, কেন্দ্রীয় কার্যকরী সদস্য রিয়াজুল কবির কাউছার ও সৈয়দ আবদুল আউয়াল শামীম, সংসদ সদস্য উম্মে কুলসুম স্মৃতি, ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার ইনস্টিটিউটের সভাপতি এম এ হামিদ, সাধারণ সম্পাদক শামসুর রহমান এবং ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন জার্মানি শাখা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক।
বিএসডি/এমএম