নিজস্ব প্রতিবেদক:
বর্তমানে স্মার্টফোন ব্যবহার করে না এমন মোবাইল ব্যবহারকারীর সংখ্যা দেশে অনেক কম। প্রত্যেকটি স্মার্টফোনেই রয়েছে অসংখ্য অ্যাপ। এগুলো ব্যবহারের ফলে প্রত্যেক ব্যবহারকারী নিজের অজান্তে ঘণ্টার পর ঘণ্টা সময় কাটাচ্ছেন স্মার্টফোনে। এ বিষয়টি সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞরা ব্যাধি হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। এটি ব্যাধি হলেও এর থেকে নিস্তারেরও উপায় রয়েছে। এমন কিছু অ্যাপ রয়েছে যার মাধ্যমে স্মার্টফোন আসক্তি কমানো সম্ভব। পাঠকদের সুবিধার্থে স্মার্টফোনের আসক্তি কমায় এমন তিনটি অ্যাপ নিয়ে আলোচনা করা হলো এ লেখায়।
অ্যাপব্লকার দিয়ে নির্দিষ্ট সময়ের জন্য অন্য অ্যাপ ব্লক করে রাখা যায়। কাজের সময় আপনি চাইলে কয়েকটি অ্যাপ চিন্হিত করেন সেগুলোকে ব্লক করে রাখতে পারবেন। এই সুবিধায় ব্যবহারকারী ব্লক করা অ্যাপগুলোর নোটিফিকেশনগুলো অ্যাপ আনব্লক করার পরে দেখতে পাবেন। এতে রয়েছে পাসওয়ার্ড ব্যবহারের সুবিধাও। ফলে অন্য কেউ চাইলে সেটিংস পরিবর্তন করতে পারবে না। এটির মাধ্যমে প্রতিদিন টাইম লিমিট করে দিতে পারেন।
স্মার্টফোন ব্যবহারকারীদের প্রায় সকলেরই ফেসবুক অ্যাকাউন্ট রয়েছে। এছাড়াও বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম তো রয়েছেই। বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারকারীরা একটি পর পরই তার প্রোফাইলে প্রবেশ করে। প্রতিদিন ৩০-৪০ বার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের অ্যাপটি চালু করেন। এ আসক্তি কমাতে সহায়তা করতে পারবে অ্যাপটি। এটির মাধ্যমে প্রতিদিন কতবার ফেইসবুক অ্যাপ চালু করেন বা কত সময় চালাচ্ছেন এমন হিসাব জানতে পারবেন। তা থেকে কতটা সময় নষ্ট হচ্ছে তা জেনে নিতে পারবেন।
এটির মাধ্যমে আপনি ফোনে থাকা কোন অ্যাপ কতবার চালু করবেন তা নির্ধারণ করে দিতে পারবেন। পরে অ্যাপটি নোটিফিকেশনের মাধ্যমে জানিয়ে দেবে আপনি সীমার চেয়ে বেশি কতবার অ্যাপটি ব্যবহার করতে চাইছেন। এ অ্যাপে ব্যবহারকারীরা নিজেদের প্রয়োজন অনুযায়ী প্রোফাইল তৈরি করতে পারবেন।
অনেকেরই ধারণা স্মার্টফোন ছাড়া একদিনও থাকা সম্ভব নয়। আপনার আসক্তির লেভেল কম না বেশি, তা জানতে ফোনে ইন্সটল করে নিতে পারেন ‘ইউর আওয়ার’ অ্যাপটি। অ্যাপটি ব্যবহারকারীর ফোন ব্যবহারের ধরন অনুযায়ী বলে দেবে আসক্তির লেভেল সম্পর্কে। তারপর আসক্তি কাটিয়ে উঠতেও সহায়তা করবে এটি। ব্যবহারকারীরা এটির মাধ্যমে প্রতিদিন কতটুকু সময় ফোনে কাটাবেন সেই লক্ষ্য নির্ধারণ করে আসক্তি কমাতে পারবেন। অ্যাপটির সাহায্যে কত সময় ফোনের স্ক্রিন অন ছিল, কোন সময় কোন অ্যাপ ব্যবহার করেছেন ইত্যাদি তথ্য টাইমলাইন আকারে পাওয়া যাবে
বিএসডি/ এফএস