নিজস্ব প্রতিবেদক
ভারতে অবস্থানরত বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ফিরিয়ে আনার বিষয়টি দিল্লির কাছে উত্থাপন করেছে ঢাকা। তবে এটা নিয়ে এখনো চূড়ান্ত কিছু হয়নি। এ ছাড়া, ভারতের শীর্ষ পর্যায় থেকে স্পষ্ট করা হয়েছে যে, বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্কের ক্ষেত্রে দল বিবেচনা করে না দিল্লি।
মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন।
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সম্প্রতি থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককে বিমসটেক সম্মেলনের ফাঁকে বৈঠক করেছেন। সেই বৈঠকে শেখ হাসিনাকে প্রত্যর্পণ করার কথা উত্থাপন করেছে বাংলাদেশ। এক্ষেত্রে ভারতের উত্তর জানতে চাইলে উপদেষ্টা বলেন, বিষয়টি উত্থাপিত হয়েছে। কিন্তু এটা নিয়ে চূড়ান্ত কিছু হয়নি, আমি এটুকুই বলব।
জবাব ইতিবাচক ছিল কি না— পাল্টা প্রশ্নে তৌহিদ হোসেন বলেন, এটা নিয়ে চূড়ান্ত কোনো কথাবার্তা হয়নি, কাজেই আমরা এটাকে এখানেই রাখি। আমরা তো তাদের কাছে ফেরত চেয়েছি, বলেছি তাকে বিচারের সম্মুখীন করা হোক।
সম্পর্কে অস্বস্তি যেন না হয়, সেজন্য উত্তেজনাকর পরিস্থিতি থেকে বিরত থাকতে বার্তা দিয়েছে ভারত। এ প্রসঙ্গে উপদেষ্টা বলেন, এটা নিয়ে আমরা নিজেরাও একমত। এইটা যে একতরফাভাবে হচ্ছে তা তো না। একই কাজ ভারত থেকেও হয়ে থাকে। আমরা জানি যে পশ্চিমবঙ্গ থেকে প্রতিদিনই শক্ত শক্ত কথা শোনা যাচ্ছে, এমনকি কেন্দ্রীয় সরকারের কেউ কেউ এটা করেছেন।
‘আমরা এটা বলেছি, সম্পর্ক উন্নয়ন করতে গেলে আপত্তিকর কথাবার্তা না বলাই ভালো। আমরা এটাকে সেই দৃষ্টিকোণ থেকে দেখছি।’ যোগ করেন তৌহিদ হোসেন।
ব্যাংককে ইউনূস-মোদি বৈঠক আন্তরিক পরিবেশে হয়েছে জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন, সাক্ষাৎ ইতিবাচক পরিবেশে হয়েছে এবং দুই পক্ষই আসলে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক ভালো রাখার এবং ভালো করার ওপর জোর দিয়েছে। মোদি স্পষ্ট করে বলেছেন, বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক দেশের সঙ্গে, মানুষের সঙ্গে; এটা কোনো দলের সঙ্গে নয়। উনি এটা স্পষ্ট করেছেন। এটাকে আমরা একটা ইতিবাচক দিক হিসেবে দেখতে চাই।
ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের ক্ষেত্রে পরবর্তী পদক্ষেপ কী— জানতে চাইলে তৌহিদ হোসেন বলেন, সময় লাগবে। মাত্রই বৈঠকটা করলাম।