একাদশে দুই পরিবর্তন নিয়ে মাঠে নেমেছিল বসুন্ধরা। বিপলু আহমেদের জায়গায় হোল্ডিং মিডফিল্ডার আতিকুর রহমান ও মাহবুবুর রহমানের জায়গায় প্রথাগত রাইটব্যাক সুশান্ত। এই একাদশ নিয়ে ৪-১-৪-১ ফরমেশনে কোচ অস্কার ব্রুজোনের উদ্দেশ্য পরিষ্কার নিজেদের অর্ধে প্রতিপক্ষকে চড়াও হওয়ার সুযোগ না দেওয়া। প্রথমার্ধে সেটি কখনো পারেওনি ভারতের ঐতিহ্যবাহী ক্লাবটি। পরিষ্কারভাবে বল দখলের লড়াই ও গোলের সুযোগ তৈরির ক্ষেত্রে এগিয়ে ছিল বাংলাদেশের চ্যাম্পিয়নরা।
১৪ থেকে ১৫ মিনিট মোহনবাগানকে খুব চাপে রেখেছিল বসুন্ধরা। কলকাতার ক্লাবটির বক্সের মধ্যেই বল ঘুরেছে। মনে হচ্ছিল ‘এই বুঝি গোল’। তপু বর্মণের হেড গোল মুখ থেকে ক্লিয়ার করেছেন প্রিতম কোটাল। রীতি ধরে রেখে মোহনবাগান খেলেছে প্রতি আক্রমণে। ১৮ মিনিটে এগিয়ে যেতে পারত মোহনবাগান। যদি ম্যাচের সবচেয়ে সহজ গোলের সুযোগটি নষ্ট না করতেন আগের ম্যাচের গোল করা লিস্টন কোলাসো। পোস্ট ফাঁকা পেলেও তিন কাঠির মধ্যে বল রাখতে পারেননি তিনি। ২৩ মিনিটে মোহনবাগান অধিনায়ক রয় কৃষ্ণার ব্যাকভলি ক্রসবার উঁচিয়ে বাইরে চলে যায়।
২৮ মিনিটে জোনাথনের গোল। বক্সের মধ্য থেকে ডান পায়ের জোরালো শটে কাছের পোস্ট দিয়ে গোলটি করেছেন তিনি। খেলার অনেক পথ বাকি থাকলেও মনে হচ্ছিল, ইতিহাস রচনা করতেই পারে বসুন্ধরা। কিন্তু প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে সেই স্বপ্নের লাগাম টেনে ধরে সুশান্তের লাল কার্ড । অতিরিক্ত যোগ করা সময়ে সুশান্তকে কেন লাল কার্ড দেখানো হলো, সেটি অবশ্য কারও কাছেই পরিষ্কার নয়।
মোহনবাগানের মতো শক্তিশালী দলের বিপক্ষে পুরো দ্বিতীয়ার্ধ ১ খেলোয়াড় কম নিয়ে খেলার কাজটা সহজ নয়। সেটি পারেওনি বসুন্ধরা। প্রতিপক্ষের ১ খেলোয়াড় কম নিয়ে খেলার সুযোগটা প্রতি মিনিটেই কাজে লাগানোর চেষ্টা করেছে অ্যান্থনিও লোপেজের দল। ৬২ মিনিটে ম্যাচে ফিরেও তারা। মোহনবাগানকে সমতায় ফেরান অস্ট্রেলিয়ার ফরোয়ার্ড উইলিয়াম। লিস্টনের পাসে গোলমুখ থেকে আনমার্কড থাকা অবস্থায় পা লাগানোর কাজটি শুধু করেছেন অস্ট্রেলিয়ান এই ফরোয়ার্ড।
মোহনবাগানের ড্র হলেই পরবর্তী রাউন্ডের টিকিট নিশ্চিত হলে। তাই গোল পরিশোধ করে আর তেড়ে ফুঁড়ে যায়নি তারা। অন্য দিকে ১০ জনের দল নিয়েও দাঁতে দাত চেপে লড়াই করেছে বসুন্ধরা। ৮৪ মিনিটে রবসন দা সিলভার শট সাইড পোস্টে লাগে।
সুশান্তর লাল কার্ডটি আরও একটি এএফসি কাপে খেলতে নামার আগ পর্যন্ত বসুন্ধরাকে তাড়িয়ে নিয়ে বেড়াবে—এটা নিশ্চিত!
বিএসডি/এএ