প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, যারা হয়তো ভালো রেজাল্ট করতে পারেনি, তাদেরও হতাশ হওয়ার কিছু নেই। অভিভাবকদের বলবো, যারা উত্তীর্ণ হতে পারেনি, তাদের প্রতি সহানুভূতি দেখাতে হবে। সে যে পারে নাই, সেটার কারণ বের করে তাকে আরও মনোযোগী হতে উৎসাহী করতে হবে। তাকে ধমক বা গালমন্দ করা ঠিক হবে না। এটা আমাদের বিনীত অনুরোধ থাকবে, কাউকে ধমক বা গালমন্দ করবেন না। এগুলো কোমলমতি এই ছেলেমেয়েগুলো নিতে পারে না। পরে তারা দুর্ঘটনা ঘটিয়ে ফেলে। সমস্যা চিহ্নিত করে সেটি সমাধানে সহযোগিতা করলে ভবিষ্যতে তারা ভালো করতে পারবে।
আজ সকাল ১০টায় গণভবনে এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার হস্তান্তর অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, ও বোর্ডের চেয়ারম্যানসহ আরও অনেকে এসময় উপস্থিত ছিলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, নির্ধারিত সময়ে ফলাফল প্রকাশ পাওয়ায় আন্তরিক ধন্যবাদ। জ্বালাও পোড়াও এর মধ্যে যে আপনারা যথা সময়ে কাজটি করতে পেরেছেন এটি বড় ব্যাপার। এজন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই। সবার প্রচেষ্টায় আমরা এটি করতে পেরেছি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, গবেষণার ওপর সবেচেয়ে গুরুত্ব দিতে চাই। বিজ্ঞান শিক্ষায়ও আমরা বেশি গুরুত্ব দিচ্ছি। ১২টি বিজ্ঞান প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় করেছি। কারিগরি শিক্ষায়ও যাতে ছেলেমেয়েরা এগিয়ে আসে, সেদিকে আমরা নজর দিচ্ছি।
তিনি বলেন, গত বছরের তুলনায় ফলাফলে বেশ কিছু ইতিবাচক লক্ষণ আছে। এটা আমাদের ইতিবাচক উদ্যোগের ফলেই হয়েছে বলে মনে করি। শিক্ষার প্রচারে সংসদ টেলিভিশনকে আরও ভালো ভাবে কাজে লাগানো যেতে পারে।
বিএসডি / মোঃ নাইমুর রাহমান