টানা তিনবার পেপ গার্দিওলার ম্যানচেস্টার সিটিকে হারিয়ে দিয়েছে টমাস টুখেলের চেলসি। তবে তিন জয়ের সর্বশেষটা নিঃসন্দেহে সবচেয়ে বেশি আনন্দ দিয়েছে ‘ব্লুজ’দের। নিজেদের ইতিহাসের দ্বিতীয় চ্যাম্পিয়নস লিগ শিরোপাটা যে এই জয়েই এল!
তবে গোটা মৌসুম ধরে ম্যানচেস্টার সিটি যেমন দুর্দমনীয় ফুটবল খেলছিল, অনেকেই ভেবেছিলেন, এক দশক পর আবারও চ্যাম্পিয়নস লিগের শিরোপা জিতবেন পেপ গার্দিওলা। সিটিকে দেবেন তাঁদের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো ইউরোপসেরা হওয়ার আনন্দ। সে আশায় গুড়ে বালি। আর এই ব্যর্থতার দায় অনেকেই দিচ্ছেন গার্দিওলাকে। সমালোচনা করছেন এই কাতালান কোচের। আর সে সমালোচনা করার সুযোগ গার্দিওলাই করে দিয়েছেন ম্যাচের আগে। শুরুর একাদশে ছিলেন না রদ্রি, ফার্নানদিনিও, জোয়াও কানসেলোর কেউ। অতিরিক্ত আক্রমণনির্ভর খেলোয়াড় দিয়ে দল সাজিয়েছেন। একাদশ দেখে নিন্দুকদের ওই সমালোচনাই বাস্তব হয়েছে ম্যাচ শেষে।
কিন্তু ম্যাচ শেষে গার্দিওলা ওসব সমালোচনা পাত্তা দেননি। সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, ম্যাচের জন্য যে একাদশটা তাঁর কাছে সবচেয়ে ভালো বলে মনে হয়েছে, সেই একাদশটাই নামিয়েছেন। বিটি স্পোর্টসকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে গার্দিওলা বলেন, ‘আমি সেটাই করেছি যেটা দলের জন্য আমার কাছে সবচেয়ে ভালো বলে মনে হয়েছে। তিন-চারবার এমন হয়েছে, ক্রস এসে যাওয়ার পরেও খেলোয়াড়েরা ঠিক সময় আক্রমণ করার জন্য পৌঁছাতে পারেনি। আমি আমার সর্বোচ্চটা দিয়েই মূল একাদশ নির্বাচন করেছি।’
নিজের কৌশলের পক্ষে বলতে গিয়ে অতীত ইতিহাসও টেনে এনেছেন গার্দিওলা, ‘গত মৌসুমে লিওঁর বিপক্ষে, কিংবা এই মৌসুমে ডর্টমুন্ড বা পিএসজির বিপক্ষেও এমনটাই করেছিলাম। ম্যাচ জেতার জন্য যা যা করার দরকার, আমি সেটাই করেছি। খেলোয়াড়েরা জানে সেটা। গুন্দোয়ান যেমন দুর্দান্ত খেলেছে। প্রথমার্ধে ওদের রক্ষণভাগ ভাঙার জন্য তেমন কিছু করতে পারিনি, কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধে বেশ ভালো খেলেছি আমরা।’
হারানো সুযোগগুলোর কারণেই কষ্ট হচ্ছে গার্দিওলার, ‘অনেক কঠিন একটা ম্যাচ ছিল এটা। যে কেউই জিততে পারত। আমরা অনেক সুযোগ পেয়েছিলাম গোল করার। আমরা সাহসী ছিলাম, কিন্তু ওদের শক্তিশালী খেলোয়াড়দের সঙ্গে পেরে উঠতে পারিনি। খেলোয়াড়েরা দুর্দান্ত খেলেছে। আশা করি সামনে আবারও এই পর্যায়ে আসতে পারব!’