অনলাইন ডেস্ক:
ঢাকায় নিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূত লি জিমিং বলেছেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কর্তৃক তড়িঘড়ি করে আয়োজিত তথাকথিত গণতন্ত্র সম্মেলন বেশ ধুমধাম করে ঘোষণা করা হয়েছে। বাংলাদেশ সহ বিশ্বের প্রায় অর্ধেক মানুষ যখন এ সম্মেলনে অংশগ্রহণকারীদের তালিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলছে, তখন চীন অন্য একটি প্রশ্ন ছুঁড়ে দিচ্ছে, প্রকৃত গণতন্ত্র কী? যুক্তরাষ্ট্র কি গণতন্ত্রকে সংজ্ঞায়িত করার যোগ্যতা রাখে? আর কিভাবে একটি গণতন্ত্রকে বাস্তবায়ন এবং মূল্যায়ন করতে হবে?
শুক্রবার (১০ ডিসেম্বর) রাষ্ট্রদূতের সাথে এক মিনিট শীর্ষক এক ভিডিও বার্তায় তিনি এসব কথা বলেন।
চীনা রাষ্ট্রদূত বলেন, প্রায়ই গণতন্ত্রকে সংকীর্ণভাবে ব্যাখ্যা করা হয় যে, শাসক দলের আবর্তন আছে কিনা। তবে চীন বিশ্বাস করে যে, একটি দেশ গণতান্ত্রিক কিনা তা নির্ভর করে তার জনগণ সত্যিকার অর্থে সে দেশের মালিক কিনা তার উপর। জনগণকে যদি শুধুমাত্র ভোট দেওয়ার জন্য জাগানো হয় কিন্তু তার পরেই তারা আবার নিষ্ক্রিয় অবস্থায় প্রবেশ করে। যদি প্রচারের সময় তাদের একটি গান ও নৃত্য দেওয়া হয় কিন্তু নির্বাচনের পরে তাদের কোনো বক্তব্য না থাকে, অথবা যদি ভোট চাওয়ার সময় তাদের বিশেষ সুবিধা দেয়া হয় কিন্তু নির্বাচনের পরে তারা উপেক্ষিত হন, এমন গণতন্ত্র অবশ্যই প্রকৃত গণতন্ত্র নয়।
লি জিমিং বলেন, আমরা যদি ‘গণতন্ত্র’ শব্দটির প্রাচীন গ্রীক মূল শব্দে ফিরে তাকাই, এর অর্থ পাই ‘জনগণের শাসন ‘। অতএব একটি দেশ গণতান্ত্রিক কি না তা বিচার করবে সে দেশের জনগণ, বাইরের কোন নিজস্ব-শৈলীর বিচারক নয়। একই ভাবে, যেহেতু বিশ্ব বৈচিত্র্যময় তাই একঘেয়ে দৃষ্টিকোণ থেকে সম্বৃদ্ধ এবং বৈচিত্র্যময় রাজনৈতিক ব্যবস্থা এবং মানবজাতির বিভিন্ন সভ্যতাসমূহকে বিচার করার জন্য একই মাপকাঠি ব্যবহার করার বিষয়টি নিজেই অগণতান্ত্রিক।
তিনি আরো বলেন, বিস্তীর্ণ সমাজতান্ত্রিক আধুনিকীকরণের পথে সম্পূর্ণ প্রক্রিয়ার চীন জনগণের গণতন্ত্র বিকাশে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেছে। বাংলাদেশের গল্পটিও এক, দেশটি আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন এবং গণতন্ত্রের ক্ষেত্রে ব্যাপক অগ্রগতি অর্জন করেছে। একটি সরকারসহ একটি দেশ যার ব্যাপক জনসমর্থন রয়েছে তা যদি গণতন্ত্র হিসেবে স্বীকৃত না হয়, তাহলে হয়তো গণতন্ত্রের সংজ্ঞাটি পুনর্মূল্যায়ন করার অথবা এই সংজ্ঞার পিছনের উদ্দেশ্য নিয়ে প্রশ্ন তোলার সময় এসেছে। আপনার কি তাই মনে হয় না?
বিএসডি /আইপি