নিজস্ব প্রতিবেদক:
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্কের সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনসহ দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে অংশ নিতে ওয়াশিংটনের উদ্দেশে ঢাকা ছেড়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। শনিবার (২ এপ্রিল) রাত ৯টার দিকে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে কাতার এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইটে ঢাকা ছাড়েন তিনি। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
সফরসূচি অনুযায়ী, রবিবার ওয়াশিংটন পৌঁছাবেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। পরদিন সোমবার যুক্তরাষ্ট্র সরকারের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থার (ইউএসএআইডি) পরিচালক সামান্থা পাওয়ারের সঙ্গে বৈঠক করবেন। ওই দিন ডিপার্টমেন্ট অব স্টেটে বৈঠকে বসবেন ড. মোমেন ও মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্থনি ব্লিঙ্কেন।
আশা করা হচ্ছে, মোমেন-ব্লিঙ্কেনের ওই বৈঠকে সামনের দিনগুলোতে একসঙ্গে চলা, র্যাবের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার, বিনিয়োগ, জলবায়ু পরিবর্তন, রোহিঙ্গা ইস্যু, খুনি রাশেদকে ফেরতসহ নতুন নতুন ক্ষেত্রে কাজ করার ওপর গুরুত্ব দেবে ঢাকা।
শুক্রবার দ্বিপাক্ষিক বৈঠক আলোচনার বিষয়ে ড. মোমেন সাংবাদিকদের জানান, আগামী ৫০ বছরে কীভাবে আমরা সম্পর্ক গড়ে তুলতে পারি সেসব নিয়ে আলোচনা হবে। ইনভেস্টমেন্ট আরও বাড়াতে পারি, সেগুলো নিয়ে আলোচনা করব। আলোচনায় রোহিঙ্গা ইস্যু আসবে। জলবায়ু ইস্যুও থাকবে। মূল কথা আমরা সম্পর্ককে ডাইভারসিফাই করতে চাই।
ওইদিন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক ছাড়াও মার্কিন সিনেটর ক্রিস ভ্যান হলেন, ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক ইনস্টিটিউটের (এনডিআই) প্রেসিডেন্ট মিশেল ও নিউ লাইন্স ইনস্টিটিউটের পরিচালক আজিম ইব্রাহিমের সঙ্গে বৈঠক করবেন মোমেন।
এছাড়া ওই দিন ওয়াশিংটনের বাংলাদেশ দূতাবাসে বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর উদযাপন অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন তিনি।
পরদিন ড. মোমেন যুক্তরাষ্ট্র ইনস্টিটিউট অব পিস (ইউএসআইপি) প্রেসিডেন্টের সঙ্গে সাক্ষাৎ করার পাশাপাশি সংস্থাটির আয়োজনে একটি সেমিনারে যোগ দেবেন। ওই দিন তিনি মার্কিন সিনেটর চাক সাকমার ও কংগ্রেসম্যান স্টিভ চাবোটের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন। ৬ এপ্রিল ড. মোমেন কংগ্রেসম্যান এমি বেরার সঙ্গে বৈঠক করবেন।
আগামী ১০ এপ্রিল পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দেশে ফেরার কথা রয়েছে।
বিএসডি/ এমআর