অনলাইন ডেস্ক
যে কোনো খাবারের প্রভাবই আমাদের শরীরের ওপর পড়ে। আর সেই প্রভাব প্রকাশ পায় শরীরের অভ্যন্তরে এবং তার বাইরে। তাই সুস্বাস্থ্য ও সুন্দর চেহারা পেতে স্বাস্থ্যকর খাবারের বিকল্প নেই। নিয়মিত খাদ্য তালিকায় প্রাকৃতিক খাদ্য উপাদান হিসেবে ফল ও সবজি রাখা উচিত। বিশেষ করে পুষ্টি পাওয়ার সবচেয়ে সহজ ও সর্বোত্তম উপায় হচ্ছে জুস পান করা।
আমরা সবাই-ই উজ্জ্বল ত্বক পেতে চাই। আর এর জন্য অনেকেই নানা ধরনের প্রসাধনী ব্যবহার করে থাকি। কিন্তু এসব পণ্যে রয়েছে নানান ক্ষতিকারক দিক। যা ত্বকের মারাত্মক ক্ষতি করতে পারে। তবে ত্বক ভালো রাখতে বেছে নেওয়া উচিত প্রাকৃতিক উপায়। যার কোনো ক্ষতিকারক দিক নেই। চলুন জেনে নেই এমন কিছু সুস্বাদু জুস সম্পর্কে যেগুলো খেলে মিলবে উজ্জ্বল ত্বক-
ডালিমের জুস: ডালিমের রস ভিটামিন সি ও কে সমৃদ্ধ হওয়ায় এটি ত্বকের কোষ ভালো রাখতে এবং বার্ধক্য প্রক্রিয়া ধীর করতে সাহায্য করে। এ ছাড়া এতে রক্ত পরিশোধক বৈশিষ্ট্য থাকার কারণে এটি আপনার ত্বককে একটি প্রাকৃতিক উজ্জ্বলতা প্রদান করতে পারে। পাশাপাশি এতে থাকা ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড এবং পিউনিকিক অ্যাসিড আপনার ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখতে সাহায্য করে এবং ত্বককে হাইড্রেটেড রাখে।
বিটরুট জুস: ত্বক ও স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারী একটি সবজি হচ্ছে বিটরুট। এটি ত্বক উজ্জ্বল করে এবং ত্বকের দাগ দূর করে। এ ছাড়া বিটরুটের জুসে ভিটামিন এ, সি, কে, ফলিক অ্যাসিড, ম্যাগনেসিয়াম, তামা, জিংকের মতো উপাদানের পাশাপাশি এতে প্রদাহ বিরোধী বৈশিষ্ট্য রয়েছে। আর বিটরুটে থাকা আয়রন ও পটাশিয়াম উপাদান রক্তকে বিশুদ্ধ করে ত্বককে উজ্জ্বল করতে সাহায্য করে।
কমলার জুস: কমলার রস আপনার ত্বকের শুষ্কতা, ঝলসানো ভাব এবং ফাটা ভাব থেকে সুরক্ষিত রাখতে পারে। আর এতে থাকা সাইট্রিক অ্যাসিড ইলাস্টিন এবং কোলাজেন গঠনে সহায়তা করে ত্বককে উজ্জ্বল রাখে ও অকাল বার্ধক্য নিয়ন্ত্রণ করে।
অ্যালোভেরা জুস: ত্বকের জন্য উপকারী উপাদানের মধ্যে অন্যতম পরিচিত একটি উপাদান হচ্ছে অ্যালোভেরা। অ্যালোভেরার রসে থাকা খনিজ এবং পুষ্টি উপাদান আপনার ত্বকের প্রাকৃতিক উজ্জ্বলতা বজায় রাখতে পারে। এ ছাড়া এতে থাকা গিবেরেলিন এবং অক্সিন নামক হরমোন আপনার ত্বককে সুস্থ করতে সহায়তা করে।
গাজরের জুস: গাজরে থাকা ভিটামিন এ আমাদের চোখের জন্য উপকারী হওয়ার পাশাপাশি এটি ব্রণ ও সূর্যের ক্ষতি থেকেও রক্ষা করে। এ ছাড়া গাজরে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ত্বক উজ্জ্বল করার পাশাপাশি শরীরের ফ্রি র্যাডিকেলের বিরুদ্ধে লড়াই করে বার্ধক্য প্রক্রিয়াকে ধীর করে দেয়।
শসার জুস: শসার রস আপনার ত্বককে হাইড্রেট ও পুষ্ট রাখার পাশাপাশি ত্বক থেকে টকসিন বের করে দেয়। আর এতে থাকা সিলিকা আপনার ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে প্রাকৃতিক রঙ বাড়িয়ে তুলতেও অনেক কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। সূত্র: ফাস্টক্রাই প্যারেন্টিং ডটকম।
বিএসডি/এমএম