নিজস্ব প্রতিবেদক:
সব জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটিয়ে ২৯ অক্টোবর ফেসবুকের নতুন নাম ঘোষণা করা হয় মেটা। যুক্তরাষ্ট্রের তথ্যপ্রযুক্তি জায়ান্ট ফেসবুকের করপোরেট নাম এখন থেকে মেটা। তবে ফেসবুকের নাম ঠিকই থাকছে। সামাজিক যোগাযোগের প্লাটফর্ম ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম ও হোয়াটসঅ্যাপের মতো অ্যাপগুলো মেটার অধীনে আগের নামেই থাকবে।
গত ২৮ অক্টোবর ফেসবুকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মার্ক জুকারবার্গ কোম্পানির বার্ষিক হার্ডওয়্যার ইভেন্ট ‘কানেক্টে’ এই ঘোষণা দেন। ফেসবুকের এ রি-ব্র্যান্ডিংয়ের পেছনে মূল কারণ হলো সোশ্যাল মিডিয়া থেকে সাইটটিকে ভবিষ্যতের উপযোগী করে তোলা। সংক্ষেপে মেটা (Meta) নামে ডাকা হবে এই প্যারেন্ট কোম্পানিকে। ১৯৯২ সালে নিল স্টিফেনসন তার উপন্যাস ‘স্নো ক্র্যাশ’-এ প্রথমবারের মতো ‘মেটাভার্স’ শব্দটি ব্যবহার করেন।
হরাইজন হোম
হরাইজন হোম হলো একটি ভার্চুয়াল ঘরের মতো, যেখানে মেটাভার্সের অন্যান্য ব্যবহারকারীরা বন্ধুদের আমন্ত্রণ জানাতে পারবেন। একসঙ্গে আড্ডা দিতে পারবেন, ভিডিও দেখতে পারবেন ও গেম খেলতে পারবেন।
গেমিং
মেটাভার্সের বিশাল একটি অংশ হতে যাচ্ছে গেমিং। কানেক্ট কিনোটের সময় ফেসবুকের গেমিং প্ল্যাটফর্ম, কুয়েস্টে বিট সেবার গেমটি ১০০ মিলিয়ন ডলার আয়ের কথা জানান জাকারবার্গ। এছাড়াও কুয়েস্টের আপকামিং ভার্সনে রকস্টার গেমসের জনপ্রিয় গেম জিটিএ স্যানএন্ড্রিয়েস আসতে যাচ্ছে।
ভার্চুয়াল ওয়ার্কপ্লেস
ভিআর ব্যবহার করে ভার্চুয়াল ওয়ার্কপ্লেসের কথা আমরা এরইমধ্যে জেনেছি। মেটাভার্স ওয়ার্কপ্লেসে ফেসবুক একাউন্ট ছাড়াই আলাদা প্রফেশনাল একাউন্ট দিয়ে লগইন করা যাবে। যারা বাসা থেকে কাজ করেন তারা তাদের মেটাভার্স ওয়ার্কপ্লেসে ভার্চুয়ালি উপস্থিত হয়ে কাজ করতে পারবেন।
মেসেঞ্জার অ্যাপে বেশকিছুদিন আগেই ভিআর সাপোর্টের ঘোষণা দেয় ফেসবুক। হেডসেট ব্যবহার করে বন্ধুদের কুইক মেসেজ পাঠানো যাবে। এছাড়াও ভিআরের মাধ্যমে মেসেঞ্জার অডিও কল আসতে যাচ্ছে খুব শিগগিরই। সহযোগী প্ল্যাটফর্মগুলোতে একইসঙ্গে ভিআর হেডসেট ব্যবহার করে বিভিন্ন জায়গায় যেতে পারবেন ব্যবহারকারীরা।
ফিটনেস
এরইমধ্যে অনেকেই ভিআর ব্যবহার করে এক্সারসাইজ করে থাকেন। আগামী বছর নতুন একসেসরিজ আনবে ফেসবুকের প্যারেন্ট কোম্পানি মেটা। যার মাধ্যমে ভার্চুয়ালি ফিটনেস বজায় রাখা আরও সহজ হবে।
সূত্র: টেক ফেসবুক
বিএসডি /আইপি