ডেস্ক রিপোর্ট-
ক্রিকেট নিয়ে রশিদ খানের ব্যস্ততা এতোটাই বেশি যে পরিবারকে সময় দিতে পেরেছেন খুব কম সময়ই। শেষ ৫ বছরে মাত্র ২৫ দিন বাড়িতে ছিলেন বলে জানালেন তিনি। তাতে আক্ষেপ হচ্ছে তার।
নিজের সাফল্যগুলি পরিবারের সঙ্গে ভাগাভাগি করতে পারেননি। দুঃসময়েও কাছে পাননি পরিবারকে। পাশাপাশি ঘরের মাঠে স্বাগতিক দর্শকদের সামনে খেলতে না পারার তীব্র কষ্ট তাকে বেশ পোড়াচ্ছে।
আফগানিস্তানের জাতীয় দলের নিয়মিত মুখ এ লেগ স্পিনার। কিছুদিন আগে তার হাতে উঠেছে টি-টোয়েন্টি অধিনায়কের আর্মব্র্যান্ড। এর আগে টেস্টেও অধিনায়কত্ব করেছেন তিনি। জাতীয় দলের পাশাপাশি প্রতিটি ফ্রাঞ্চাইজি টি-টোয়েন্টি প্রতিযোগিতায় তার চাহিদা তুঙ্গে। আইপিএল, বিগ ব্যাশ, সিপিএল, বিপিএল, পিএসএল, কাউন্টি সবকিছুতে নিয়মিত অংশগ্রহণ করছেন তিনি।
ফলে আজ এই দেশ তো কাল আরেক দেশ, এভাবেই চলছে তার জীবন। ১৭ বছর বয়সে জাতীয় দলে অভিষেকের পর লম্বা সময় ধরে টি-টোয়েন্টি ফেরি করে বেড়াচ্ছেন তিনি। কিন্তু পরিবারের থেকে চলে গিয়েছে অনেক দূরে। সেই আক্ষেপ ঝরল তার কন্ঠে,‘শেষ ৫ বছরে মাত্র ২৫ দিন বাড়িতে থাকার সুযোগ পেয়েছি। এটা কষ্টের। আমি পরিবারের সঙ্গে আমার সাফল্য উপভোগ করতে পারিনি। শুধুমাত্র আমার ব্যস্ততার কারণে। প্রতিদিন নিজেকে নতুন সাফল্যে ভাসাতে চেয়েছি। এটা অনেক সময় কষ্ট বাড়িয়েছে। পরিবারকে একটুও সময় দিতে পারিনি। তবে সেই সব কষ্ট না করলে আজ এই অবস্থানে থাকতে পারতাম না। এটাও বিশ্বাস করি আমি।’
২২ বছর বয়সি রশিদ খান ২৬৬টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছেন। তবে ঘরের মাঠে খেলার সুযোগ পেয়েছেন একদমই কম। নিজেদের হোম সিরিজ খেলে ভারতের দেরাদুনে। আফগানিস্তানের নিরাপত্তা পরিস্থিতি ভালো না থাকায় সেখানে ম্যাচ আয়োজনের সুযোগ হয় না। স্বাগতিক দর্শকদের ক্রিকেটানন্দে ভাসাতে না পারার কষ্ট রয়েছে এ সুপারস্টারের,‘আমি যখন আন্তর্জাতিক কোনো ক্রিকেটারকে দেখি নিজেদের দর্শকদের সামনে খেলছে, তাদের সমর্থন পাচ্ছে, ভালোবাসা পাচ্ছে তখন খুব হিংসে হয়। আমিও এরকম সমর্থন, ভালোবাসা চাই। কিন্তু সেই সুযোগ আমরা পাই না।‘
‘আমরাও চাই কাবুল ক্রিকেটানন্দে মেতে উঠুক।আমরাও তো দেশকে ভালোবাসি। আমাদের মানুষ ক্রিকেট ভালোবাসে। যদি এখানে একটি সিরিজ আয়োজন করা যায় দারুণ হতো। আমি নিশ্চিত করে বলতে পারি স্টেডিয়ামে একটি জায়গাও ফাঁকা থাকবে না।’ – বলেন রশিদ খান।
বিএসডি/সাজ্জাদ