লাইফস্টাইল ডেস্ক,
সুস্বাদু ফল হিসেবে আতাফল আমাদের অনেকেই প্রিয় ফল। মিষ্টি স্বাদের মুখরোচক ফলটি শুধুমাত্র স্বাদের দিক থেকে নয়, পুষ্টিগুণে ভরপুর। প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম এবং ম্যাগনেসিয়ামে সমৃদ্ধ ফলটির কয়েকটি প্রজাতি রয়েছে। এছাড়া অঞ্চলভেদেও এটি বিভিন্ন নামে পরিচিত।
এই ফলের মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টি উপাদান। তাছাড়া আতাফল নানা রোগ প্রতিরোধে খুবই উপকারী। তাহলে জেনে নেয়া যাক যে ৮টি কারণে সকলেরই আতাফল খাওয়া উচিৎ।
১) ডায়াবেটিসে আক্রান্ত রোগীদের জন্য আতাফল উপকারি ভূমিকা রাখতে পারে। এটি রক্তের গ্লুকোজ মাত্রা কমাতে বেশ কার্যকর। এছাড়া ফলটিতে মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ডায়াবেটিস ফাইবারের উপস্থিতি থাকার কারণে এটি চিনির শোষণ কমিয়ে দেয়।
২) হাঁপানি রোগী হিসেবে অবশ্যই খেতে পারেন আতাফল। এটি ভিটামিন বি ৬ সমৃদ্ধ, যা আপনার হাঁপানি প্রতিরোধে সাহায্য করবে।
৩) প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ থাকায় আতা ফল ত্বক, চুল এবং চোখের জন্য উপকারী। এটি ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখে , তারুণ্য ধরে রাখে। আতাফলের খোসা দাঁতের স্বাস্থ্য ভাল রাখতে সাহায্য করে।
৪) আতাফল গর্ভপাতের ঝুঁকি হ্রাস করে। গর্ভাবস্থায় আতাফল খেলে সকালের দুর্বলতা দূর করে শারীরিক ব্যথার উপশম ঘটায়। এছাড়া নিয়মিত এটি খেলে মায়ের বুকেও পর্যাপ্ত দুধ তৈরি হয়।
৫) পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়ামের ভাল উৎস হওয়ায় আতাফল উচ্চ রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে। যাদের রক্তচাপ ওঠানামা করে তা নিয়ন্ত্রণে আনতে নিয়মিত আতাফল খেতে পারেন। এছাড়া খারাপ কোলেষ্টেরল কমাতেও এটি ভূমিকা রাখে।
৬) আতা ফলের গুঁড়ো এক গ্লাস জলে মিশিয়ে খেলে, আপনার ডায়রিয়া সমস্যা মুহূর্তে ঠিক হয়ে যেতে পারে।
৭) স্তন ক্যান্সার প্রতিরোধে আতা গাছের পাতার নির্যাস কার্যকরি ভূমিকা রাখে। এটি স্তনের মধ্যে থাকা বিষাক্ত টক্সিনকে দূর করতে সাহায্য করে।
৮) আতা ফলের চামড়া ব্যবহার করলে আপনার দাঁত পরিষ্কার থাকে। এটি আপনার দাঁত ক্ষয় রোধ করে এবং মাড়িকে আরও মজবুত করে।
বিএসডি/এএ