নিজস্ব প্রতিবেদক,

রংপুর বিভাগে এক দিনের ব্যবধানে করোনায় মৃত্যু ও শনাক্ত বেড়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ৯৯ জন করোনা সংক্রমিত রোগী শনাক্ত হয়েছে। এ সময়ে করোনা আক্রান্ত আরও চারজনের মৃত্যু হয়েছে। একইসঙ্গে সুস্থ হয়েছেন ২২৪ জন।

এর আগে শনিবার (২৮ আগস্ট) বিভাগে করোনায় তিনজনের মৃত্যু হয়। করোনা শনাক্ত হয় ৮৫ জনের। এ নিয়ে গেল ২৯ দিনে বিভাগে করোনায় ২৬৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। গড় হিসাবে প্রতিদিন বিভাগে ৯ জনের প্রাণহানি ঘটছে।

এ সময় ৭৮৬ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৯৯ জন করোনা শনাক্ত হয়েছে। এতে রংপুরের ২৭ জন, দিনাজপুরের ২১ জন,  ঠাকুরগাঁওয়ের ১৯, নীলফামারীর ৯, লালমনিরহাট ৭, কুড়িগ্রামের ৬, গাইবান্ধার ৫ ও পঞ্চগড় জেলার পাঁচজন রয়েছেন। ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ১২ দশমিক ৬০ শতাংশ।

নতুন তিনজনসহ রংপুর বিভাগে করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ১ হাজার ১৮৭ জনে। এর মধ্যে সবচেয়ে খারাপ অবস্থানে আছে দিনাজপুর। এ জেলায় সর্বোচ্চ ৩১৮ জন মারা গেছেন। আর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৮০ জনের মৃত্যু হয়েছে বিভাগীয় জেলা রংপুরে। জেলা হিসেবে সবচেয়ে কম ৬৩ জন মারা গেছেন লালমনিরহাটে। এ ছাড়া ঠাকুরগাঁওয়ে ২৩৯, নীলফামারীতে ৮৫, পঞ্চগড়ে ৭৫, কুড়িগ্রামে ৬৬ ও গাইবান্ধায় ৬১ জন মারা গেছেন।

গত বছরের মার্চে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শুরুর পর থেকে এখন পর্যন্ত বিভাগে মোট ২ লাখ ৫৪ হাজার ৪০৪ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এর মধ্যে ৫২ হাজার ৯১৪ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এখন পর্যন্ত বিভাগে সুস্থ হয়েছেন ৪৬ হাজার ৯৭৩ জন।

এদিকে যতই দিন যাচ্ছে শহরে-গ্রামে লঙ্ঘিত হচ্ছে স্বাস্থ্যবিধি। সঙ্গে বাড়ছে করোনার সংক্রমণ ঝুঁকি। হাটবাজার থেকে গণপরিবহন কোথাও স্বাস্থ্যবিধি মানা হচ্ছে না। হাসপাতালগুলোতে করোনা রোগী ভর্তির চাপ কমেছে। তবে করোনার উপসর্গ নিয়ে প্রতিদিন পাঁচ-সাতজনের মৃত্যু হলেও তা হিসেবে ধরছে না স্বাস্থ্য বিভাগ।

করোনার সংক্রমণ প্রতিরোধে সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহ্বান জানিয়ে বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. মো. মোতাহারুল ইসলাম বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে বাধ্যতামূলক মাস্ক পরা নিশ্চিত করতে হবে। একইসঙ্গে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার বিকল্প নেই।

বিএসডি/আইপি