নিজস্ব প্রতিবেদক:
দেশের পাঁচটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বার্ন ইউনিট স্থাপনসহ অবকাঠামো নির্মাণ করা হবে। এর জন্য ৪৫৬ কোটি টাকা অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। ২০২৫ সালের জুনে এটি বাস্তবায়ন করা হবে।
এটিসহ জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় প্রায় সাড়ে সাত হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে ১০টি প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হয়। এর মধ্যে সরকারি অর্থায়ন ৩ হাজার ৬৮২ কোটি টাকা।
মঙ্গলবার (০৭ ডিসেম্বর) রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এসইসি সম্মেলন কক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। গণভবন থেকে ভার্চুয়ালী সংযুক্ত হয়ে সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সভাশেষে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান প্রকল্পের বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেন।
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ১০টি প্রকল্পে ব্যয় ধরা হয়েছে সাত হাজার ৪৪৭ কোটি টাকা। এরমধ্যে বিদেশি ঋণ হচ্ছে তিন হাজার ৬১১ কোটি টাকা। বাকি অর্থ সরকারি কোষাগার থেকে ব্যয় করা হবে। অনুমোদিত প্রকল্পের মধ্যে রয়েছে মোংলা বন্দর হতে চাঁদপুর-মাওয়া-গোয়ালন্দ হয়ে পাকশী পর্যন্ত নৌ-রুটের নাব্যতা উন্নয়ন প্রকল্প।
প্রথম সংশোধিত প্রকল্পটির ব্যয় ৯৫৬ কোটি থেকে বেড়ে এক হাজার ২৯০ কোটি টাকায় দাঁড়িয়েছে। শেষ হবে ২০২৫ সালের জুনে।
কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের সমন্বিত অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পটিও অনুমোদন দেয়া হয়। এক হাজার ৫৩৮ কোটি টাকা ব্যয়ে ২০২৪ সালে এটি বাস্তবায়ন করা হবে। প্রায় ৩২ কোটি টাকা ব্যয়ে বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের আওতায় চট্রগ্রাম ও রাজশাহীতে ক্রীড়া স্কুল প্রতিষ্ঠা সংশোধিত প্রকল্পটির অনুমোদন দেয়া হয়। ২০২৩ সালে এটি শেষ করতে হবে।
সভায় প্রতিটি জেলা ও উপজেলায় একটি করে ৫৬০টি মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র স্থাপন সংশোধিত প্রকল্পটিও অনুমোদন দেয়া হয়। এতে ব্যয় ৯ হাজার ৬২ কোটি টাকা থেকে বেড়ে ৯ হাজার ৪৩৫ কোটি টাকা হয়েছে। সময় বাড়ানো হয়েছে ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত।
এছাড়া সভায় ৭০ কোটি টাকা ব্যয়ে জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের আইসিটি অবকাঠামো, মানব সম্পদ ও প্রযুক্তি দক্ষতা উন্নয়ন, দুই হাজার ৫৪২ কোটি টাকা ব্যয়ে ডিজিটাল গভার্নমেন্ট ও অর্থনীতি সমৃদ্ধিকরণ প্রকল্প, ৩২৩ কোটি টাকা ব্যয়ে সেচ অবকাঠামো পুনর্বাসন প্রকল্প, ক্লাইমেট স্মার্ট এগ্রিকালচার এন্ড ওয়াটার ম্যানেজমেন্ট এবং এক হাজার ৪৬৫ কোটি টাকা ব্যয়ে বৃহত্তর নোয়াখালী জেলার পল্লী অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পটিরও অনুমোদন দেয়া হয়, যা ২০২৪ সালের জুনে বাস্তবায়ন করা হবে।
বিএসডি/এসএফ