মুছা মল্লিক
২০২০-২১ অর্থ বছরে মোংলা কাষ্টম হাউসের রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ৫১৭৫.৯৬ কোটি টাকা্। লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত না হলেও গত বছরের তুলনায় প্রবৃদ্ধি বেড়েছে ২৫.৭৯ শতাংশ। যা প্রবৃদ্ধির দিক দিয়ে বাংলাদেশের অন্যান্য কাস্টম হাউসের তুলনায় বেশি।
পরিসংখ্যান বলছে, গত অর্থ-বছরের তুলনায় বর্তমান অর্থ-বছরে রাজস্ব আদায়ের গতি ছিল ঊর্ধ্বমুখী । ২০১৯-২০ অর্থ বছরে রাজস্ব আদায়ের পরিমান ছিল ৩১৪৯.৬৪ কোটি টাকা। কিন্তু ২০২০-২১ অর্থ বছরে রাজস্ব আদায়ের পরিমান বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৯৬২.০৬ কোটি টাকায়। অর্থাৎ গত বছরের তুলনায় ৮১২.৪২ কোটি টাকা বেশি রাজস্ব আদায় হয়েছে।
শুল্ক ব্যবস্থাপনায় গতি ফেরাতে মোংলা কাষ্টম কমিশনার হোসেন আহমদের নেয়া নানা উদ্যোগ এবং তা যথাযথ বাস্তবায়নের কারনে রাজস্ব আদায়ে প্রবৃদ্ধি বেড়েছে বলে জানিয়েছন রাজস্ব কর্মকর্তা (প্রসাশন)।
মোংলা কাস্টম হাউসের কমিশনার হোসেন আহমদ জানান, সরকারের স্বদিচ্ছা, প্রশাসনের দক্ষ বাবস্থাপনা এবং মোংলাকে একটি আধুনিক ও বিশ্বমানের বন্দরে রুপ দেবার স্বপ্ন থেকেই আমাদের এই অর্জন। অনেক পুরাতন কন্টেইনার খালাসের কারনে প্রায় ৯০০ কোটি টাকা রাজস্ব আদায় করতে সক্ষম হয়েছি আমরা। করোনা পরবর্তীতে সকল সীমাবদ্ধতা উপেক্ষা করে রাজস্বের এ পরিমান আরও বৃদ্ধি পাবে বলেও জানান তিনি।
কমিশনার জানান, ব্যাপক অনিয়ম- দুর্নীতি এবং অসাধু ব্যবসায়ীদের কালো ছক থেকে বন্দরকে সচ্ছতার কাতারে দাড় করাতে সহকর্মীরাও সহযোগিতা করেছেন । অনিয়মের সাথে জড়িত কর্মকর্তাদের স্থানন্তর করার দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহন করা হয়। মোংলাকে একটি আধুনিক এবং ব্যবসায়ী বান্ধব বন্দরে রুপ দিতে নানামুখী পদক্ষেপ গ্রহন করেছেন বলেও নিশ্চিত করেন কমিশনার হোসেন আহমদ ।
কমিশনার বলেন, গুরুত্বপূর্ণ সকল পদক্ষেপের মাঝে (Automated risk management) সেবার আওতায় এনে সকল পণ্য দ্রুত সময়ে এবং কোনরকম জটিলতা ছাড়াই আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানকে সেবা দেওয়া হবে।
কমিশনার হোসেন আহমদ জানান, পদ্মা সেতু চালু হলে মোংলা বন্দর হবে দেশের অন্যতম প্রধান বাণিজ্যিক অঞ্চল । বদলে যাবে এ জনপদের মানুষের জীবন যাত্রার মান। আগামীতে সরকারী লক্ষ্যমাত্রা পূরণের জন্য কি ধরনের পরিকল্পনা রয়েছে? এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সমগ্র ব্যবস্থাপনাকে অনলাইন সেবার আওতায় এনে দ্রুত এবং উন্নত সেবা দিতে কাজ করে যাবে মোংলা বন্দর । উন্নয়নের অংশ হিসেবে বিমান বন্দর এবং রেলওয়ের কাজ চলছে বলেও নিশ্চিত করেন তিনি।
এ বিষয়ে মোংলা কাস্টম ক্লিয়ারিং এন্ড ফরওয়াডিং এজেন্ট এসোসিয়েশনের সভাপতি মোঃ সুলতান হোসেন খান বর্তমান সময়কে জানান ,কমিশনার মহোদয়ের সুদক্ষ শুল্ক ব্যবস্থাপনার ফলে রাজস্ব আদায়ে গতি ফিরেছে। এ গতি অব্যহত থাকলে আগামী অর্থ বছরে শুল্ক আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা অজর্ন করা সম্ভব হবে।
বিএসডি/এমএম/আইপি