রাজারবাগ দরবার শরীফের সব সম্পদের বিষয়ে তদন্ত করতে হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত চেয়ে রাজারবাগ পীরের আবেদন খারিজ করেছেন চেম্বার আদালত। এর ফলে রাজারবাগ পীর ও রাজারবাগ দরবার শরীফের সব সম্পদ তদন্ত করতে কোনো বাধা থাকল না বলে জানিয়েছেন রিটের পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির।
সোমবার (১১ অক্টোবর) আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি ওবায়দুল হাসান এ আদেশ দেন।
গত ২৩ সেপ্টেম্বর রাজারবাগ পীরের এক অনুসারী মফিজুল ইসলামের আবেদনেও একই আদেশ দিয়েছিলেন চেম্বার আদালত। আদালতে রাজারবাগ পীরের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট জহিরুল ইসলাম মুকুল।
এর আগে গত ১৯ সেপ্টেম্বর রাজারবাগ দরবার শরীফের সব সম্পদের বিষয়ে তদন্ত করতে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। দুর্নীতি দমন কমিশনকে (দুদক) এই তদন্ত করতে বলা হয়েছে।
বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
এছাড়া তাদের কোনো জঙ্গি সম্পৃক্ততা আছে কি না, তা তদন্ত করতে কাউন্টার টেররিজম ইউনিটকে বলা হয়েছে। একইসঙ্গে আবেদনকারীদের মামলা প্রতারণামূলক কি না, সিআইডিকে এ বিষয়ে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
পরে হাইকোর্টের এই আদেশ স্থগিতে রাজারবাগের পীর দিল্লুর রহমান নিজেই আবেদন করেন।
গত ১৬ সেপ্টেম্বর রাজারবাগ পীর ও তার চক্রের মাধ্যমে দেশব্যাপী দায়ের করা গায়েবি মামলার তদন্ত চেয়ে হাইকোর্টে রিট করে ভুক্তভোগী ৮ পরিবার।
৭ বছরের শিশু, নারী, মুক্তিযোদ্ধার সন্তান, মাদরাসার শিক্ষক, ব্যবসায়ীসহ ৮ জন ভুক্তভোগী আবেদনকারীর পক্ষে আইনজীবী শিশির মনির এ রিট দায়ের করেন। রিট আবেদনকারীরা হলেন- মো. আবদুল কাদের, মাহবুবুর রহমান, জয়নাল আবেদীন, মো. আলা উদ্দিন, জিন্নাত আলী, আইয়ুবুর হাসান সিয়াম, নাজমা আক্তার ও নার্গিস আক্তার।
আবেদনে রাজারবাগ পীর ও তার চক্রের মাধ্যমে দেশব্যাপী আবেদনকারীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা, বিভ্রান্তিকর, মানহানিকর মামলা দায়েরের বিরুদ্ধে কেন আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে না, এই মর্মে রুল জারির আর্জি জানানো হয়। এছাড়া রাজারবাগ শরীফ ও পীর দিল্লুর রহমানের সম্পত্তি এবং ব্যাংক হিসাব তদন্ত করে একটি প্রতিবেদন দাখিল করতে দুদক চেয়ারম্যানের প্রতি নির্দেশনা চাওয়া হয়। আবেদনকারীদের বিরুদ্ধে সারা দেশে করা মামলার বিষয়ে একটি তদন্ত চাওয়া হয়। রিট আবেদনে স্বরাষ্ট্র সচিব ও আইজিপিসহ ২০ জনকে বিবাদী করা হয়।