আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে এমনটি জানানো হয়েছে।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, কিয়েভে দুটি ক্ষেপনাস্ত্র বিস্ফোরণ হয়েছে। স্থানীয় একজন বাসিন্দা জানিয়েছেন, তার জেলা বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়েছে। ইউক্রেনের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় খারকিভ শহরেও বিদ্যুৎ স্থাপনা লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়েছে।
গত শনিবার সকালে ক্রিমিয়ার সেভাস্তোপোল বন্দরে রুশ নৌবহরে ড্রোন হামলার পর এই ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় রাশিয়া। ওই ড্রোন হামলার জন্য ইউক্রেনকে দায়ী করেছে মস্কো।
এদিকে সোমবার (৩১ অক্টোবর) সকালে ইউক্রেনের মধ্যাঞ্চলীয় ভিন্নিতসিয়া অঞ্চলে রাশিয়া ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে। পাশাপাশি ইউক্রেনের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় দিনিপ্রোপেত্রোভস্ক ও জাপোরিঝজিয়া এবং পশ্চিম ইউক্রেনের এলভিভ অঞ্চলেও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে মস্কো।
জাপোরিঝজিয়া অঞ্চলের দিনিপ্রো জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র রুশ হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কিয়েভে প্রায় সাড়ে তিন লাখ অ্যাপার্টমেন্ট বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়েছে পড়েছে। এসব হামলায় কেউ হতাহত হয়েছে কিনা তা তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি।
ইউক্রেনের বিমান বাহিনীর প্রধান যুরি ইহনাত স্থানীয় একটি টেলিভিশনকে জানান,রাশিয়া তার কৌশলগত বোমারু বিমানগুলোকে এসব হামলার জন্য ব্যবহার করেছে।
ইউক্রেনের সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে পরবর্তীতে জানানো হয়, ৫০টি ক্ষেপণাস্ত্রের মধ্যে ৪৪টি সোমবার সকালে ছোড়া হয়েছে।
এ নিয়ে ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী দিমিত্রো কুলেবা বলেন, যুদ্ধের পরিবর্তে রাশিয়া বেসামরিকদের সঙ্গে লড়াই করছে।
সম্প্রতি সময়ে ইউক্রেনে বেশ কয়েকটি ভয়াবহ ড্রোন হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। এসব হামলায় দেশটির এক তৃতীয়াংশ বিদ্যুৎ স্থাপনা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। যা শীতের মধ্যে দেশটির জনগণের জন্য ভোগান্তির হতে পারে।
এদিকে রাশিয়ার পক্ষ থেকে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার বিষয়ে এখন পর্যন্ত কোন মন্তব্য করা হয়নি।
বিএসডি/এফএ