আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
রাশিয়ার ইউরাল অঞ্চলের ইজেভস্ক শহরের স্কুলে বন্দুক হামলার ঘটনায় হতাহতের সংখ্যা বেড়েছে। রুশ গণমাধ্যমগুলোর খবর, ওই ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৩ জন নিহত হয়েছেন।
নিহত ১৩ জনের মধ্যে সাতটি শিশু রয়েছে। আহতও হয়েছে কয়েক শিশু। ঘটনার তদন্তে থাকা একটি কমিটি সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) এক বিবৃতিতে জানায়, বন্দুক হামলার ঘটনায় আহত শিশুর সংখ্যা ১৪ জন।
গভর্নর আলেকজান্ডার ব্রেচালভ বলেন, স্কুলটির শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালানোর পর হামলাকারী নিজেকেও হত্যা করে। বন্দুক চালিয়েই তিনি নিজের হন্তারক হন। রাশিয়ার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় টেলিগ্রামে দেওয়া এক বিবৃতিতে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছে।
তদন্তকারী কমিটি হামলার ঘটনায় জড়িত থাকা যুবকের পরিচয় নিশ্চিত করেছে। তার নাম আর্টিওম কাজানসেভ, বয়স ৩৪ বছর। হামলার সময় তিনি নাৎসি প্রতীক সম্বলিত একটি কালো টি-শার্ট পরেছিলেন। তার কাছে দুটি পিস্তল ও প্রচুর গুলি ছিল।
রাশিয়ার পুলিশের বরাত দিয়ে রুশ সংবাদমাধ্যম আরটি জানিয়েছে, স্কুলটি থেকে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। স্কুলের বাইরে অ্যাম্বুলেন্স ও পুলিশের গাড়ি রয়েছে।
মস্কো থেকে প্রায় ৯৬০ কিলোমিটার (৫৯৬ মাইল) পূর্বে অবস্থিত ইজেভস্ক। শহরটির মোট লোকসংখ্যা ৬ লাখ ৪০ হাজার। যে স্কুলে ঘটনাটি ঘটেছে সেটি ঘিরে রেখেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
খবরে আরও বলা হয়েছে, সোমবার ঘটনা ইজেভস্ক হামলার ঘটনা শুনেছেন প্রেসিডেন্ট পুতিন। ঘটনাটিকে অত্যন্ত অমানবিক বলে মন্তব্য করার পাশাপাশি নিন্দাও জানিয়েছেন তিনি।
ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, স্কুলে হামলার ঘটনায় শিশুদের মৃত্যুতে গভীরভাবে শোক প্রকাশ করেছেন ভ্লাদিমির পুতিন। যারা আহত হয়েছেন তারা যেন দ্রুত সুস্থ হন তিনি প্রার্থনা করেছেন। হামলাটি নব্য ফ্যাসিবাদী গোষ্ঠী দ্বারা ঘটেছে বলে মনে করেন পুতিন। ঘটনাটি এমন একটি সময় ঘটলো, যখন ইউক্রেনে অভিযান চালাচ্ছে রাশিয়া।
বিএসডি/এফএ