আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
ইউক্রেনে রুশ হামলার ১২তম দিন আজ ৭ মার্চ। দেশটির রাজধানী কিয়েভে সর্বাত্মক হামলা চালানোর জন্য রুশ বাহিনী প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে সতর্ক করেছেন ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা কর্মকর্তারা। রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, মস্কোর দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত ইউক্রেনে তাঁর দেশের সামরিক পদক্ষেপ বন্ধ হবে না।
যুক্তরাজ্যের প্রতিরক্ষা কর্মকর্তাদের ভাষ্য, গত ৪৮ ঘণ্টায় ইউক্রেনে রুশ বাহিনী ন্যূনতম অগ্রগতি অর্জন করেছে বলে তাঁদের কাছে মনে হচ্ছে। এ সময়ে রুশ সেনারা কঠোর ইউক্রেনীয় প্রতিরোধের মুখে পড়েছেন। রুশ বাহিনীর লজিস্টিক সহায়তার দুর্বলতাও ধরা পড়েছে। এ কারণে রুশ বাহিনী গত ৪৮ ঘণ্টায় খুব একটা সুবিধা করতে পারেনি। তারা পরিকল্পনামতো উদ্দেশ্য অর্জন করতে পারেনি।
তবে রাশিয়ার বাহিনী ২৪ ঘণ্টা ধরে ইউক্রেনের বিভিন্ন শহরের সামরিক-বেসামরিক স্থানে বিমান ও কামান হামলা অব্যাহত রেখেছে বলে জানিয়েছে যুক্তরাজ্য।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি রুশ সেনাদের হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, তাঁরা কাউকে ক্ষমা করবেন না। তাঁরা ভুলে যাবেন না। এ যুদ্ধে, ইউক্রেনের ভূখণ্ডে যাঁরা নৃশংসতা চালাচ্ছেন, তাঁদের তাঁরা শাস্তি দেবেন। সমাধি ছাড়া এ পৃথিবীতে তাঁদের জন্য কোনো শান্তির জায়গা থাকবে না।
ইউক্রেনে ‘নো ফ্লাই জোন’ ঘোষণার যে আহ্বান দেশটির প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি জানিয়ে আসছেন, সে সম্পর্কে যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাবশালী রিপাবলিকান সিনেটর মার্কো রুবিওর কাছ থেকে গুরুত্বপূর্ণ মন্তব্য এসেছে। তিনি বলেছেন, লোকজনকে বুঝতে হবে, নো ফ্লাই জোনের মানে কী। নো ফ্লাই জোনের মানে হলো তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হওয়া।
রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা আরআইএ জানিয়েছে, পরিবারসহ রাশিয়ার প্রায় ৫০ কূটনীতিক রোববার মস্কোর উদ্দেশে নিউইয়র্ক ত্যাগ করেছেন।
রুশ হামলা শুরুর পর জীবন বাঁচাতে ইউক্রেন থেকে অন্তত ১৫ লাখ মানুষ পাশের দেশগুলোতে পাড়ি জমিয়েছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ।