নিজস্ব প্রতিবেদক:

রাজধানীর বনানীর রেইনট্রি হোটেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ মামলার রায়ের তারিখ পিছিয়ে আগামী ২৭ অক্টোবর ধার্য করেছে আদালত।

ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭ এর বিচারক বেগম মোছা. কামরুন্নাহারের আদালতে মঙ্গলবার দুপুরে আলোচিত মামলাটির রায় ঘোষণার কথা ছিল; কিন্তু রায় হয়নি। জানানো হয়, অসুস্থতাজনিত কারণে ছুটিতে আছেন বিচারক।

বিকেলে সংশ্লিষ্ট ট্রাইব্যুনালের ভারপ্রাপ্ত বিচারক আল মামুন জানান, মামলাটির রায় ঘোষণা করা হবে ২৭ অক্টোবর। বিষয়টি  নিশ্চিত করেন সংশ্লিষ্ট আদালতের বিশেষ পাবলিক প্রসিকিউটর ফারহানা আফরোজা আহমেদ অরেঞ্জ।

রায় উপলক্ষে আদালত চত্বরে নেয়া হয় বাড়তি নিরাপত্তার ব্যবস্থা। মোতায়েন করা হয়েছে অতিরিক্ত পুলিশ সদস্য।

রায়ে আসামিরা সর্বোচ্চ শাস্তি পাবেন বলে বিশ্বাস রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আফরোজা ফারহানা আহমেদ অরেঞ্জের। তিনি বলেন, ‘আলোচিত এই মামলায় আসামিদের সর্বোচ্চ সাজা আশা করছি। এটি আলোচিত মামলা। তা ছাড়া মূল আসামিরা ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন।’

আর আসামিপক্ষের আইনজীবীর দাবি, রাষ্ট্রপক্ষ কিছুই প্রমাণ করতে পারেনি। তারা খালাস প্রত্যাশা করছেন।

আসামিপক্ষের আইনজীবী শাহীনুর ইসলাম অনি বলেন, ‘মামলার সাক্ষীরা মনগড়া কথা বলেছেন, যা জেরাতে আমরা আদালতকে জানিয়েছি। এই মামলায় সাজা দেয়ার মতো উপাদান পাওয়া যায়নি। আশা করছি, আসামিরা খালাস পাবেন।’

এর আগে গত ২৯ আগস্ট আত্মপক্ষ শুনানিতে সাফাতসহ ৫ আসামি নিজেদের নির্দোষ দাবি করে ন্যায়বিচার প্রার্থনা করেন।

গত ২২ আগস্ট মামলাটির সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়। অভিযোগপত্রে ৪৭ জন সাক্ষীর মধ্যে ২২ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করে আদালত।

২০১৮ সালের ১৩ জুলাই আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে আদালত। এর আগে ৭ জুন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশের উইমেন সাপোর্ট অ্যান্ড ইনভেস্টিগেশন ডিভিশনের (ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টার) পরিদর্শক ইসমত আরা এমি পাঁচজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র আদালতে জমা দেন।

অভিযোগপত্রে আসামি সাফাত আহমেদ ও নাঈম আশরাফ ওরফে এইচ এম হালিমের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৯(১) ধারায় ধর্ষণের অভিযোগ আনা হয়। অপর আসামি সাদমান সাকিফ, রহমত আলী ও বিল্লাল হোসেনের বিরুদ্ধে ওই আইনের ৩০ ধারায় সহযোগিতার অভিযোগ করা হয়।

২০১৭ সালের ২৮ মার্চ জন্মদিনের অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানিয়ে অস্ত্রের মুখে একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে ৬ মে বনানী থানায় পাঁচজনকে আসামি করে মামলাটি করা হয়।

বিএসডি / আইকে