ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা মহারণে দর্শক, ভক্ত-সমর্থকদের থাকে ধ্রুপদী ফুটবলের আশা। কিন্তু সবশেষ বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের ম্যাচে সে আশা পূরণ হয়নি তাদের। বরং একের পর এক ফাউলে ব্যহত হয়েছে খেলার গতি, ৪২ ফাউল নিয়ে রীতিমতো রেকর্ডই করে বসেছে ম্যাচটি।
প্রথমার্ধে মোট ২২টি ফাউল হয়েছে আজ, যার ১২টিই করেছে ব্রাজিল। তবে আর্জেন্টিনা ১০টির বাইরেও একটি চ্যালেঞ্জ করে বসেছিল, যা রেফারির চোখ এড়িয়ে গেছে একেবারেই। ম্যাচের ৩৪ মিনিটে বলের দখল নিলেও ব্রাজিল ফরোয়ার্ড রাফিনিয়ার মুখে কনুইয়ের গুঁতো মেরে দিয়েছিলেন আর্জেন্টাইন ডিফেন্ডার নিকলাস অটামেন্ডি। সেটা ফাউলই দেননি রেফারি, এমনকি ব্রাজিল খেলোয়াড়দের আবেদনের মুখে ভিএআরেও নেননি বিষয়টা। এ নিয়েই ক্ষোভ ঝরে পড়েছে ব্রাজিল কোচ তিতের কণ্ঠে।
সাধারণত কোচ তিতের শান্তশিষ্ট রূপেরই দেখা মেলে সংবাদ সম্মেলনে। কিন্তু ঘটনার তীব্রতা এতই বেশি, তা শান্ত-সৌম্য তিতের ধৈর্যের বাঁধও দিল ভেঙে। গোলশূন্য এই ড্রয়ের কিছু পরেই সংবাদ সম্মেলনে ঝাঁজালো কণ্ঠে তিনি বলেন, ‘আন্দ্রেস কুনিয়া একজন দারুণ রেফারি; তার টেকনিক্যাল গুণ, খেলা বোঝার ক্ষমতা খুব ভালো। কিন্তু রেফারিং করতে গেলে ভালো দল চাই আপনার। ভিএআরের জন্য এটা না দেখাটা অসম্ভব, আমি আবারও বলছি, এটা স্রেফ অসম্ভব। সেটা ফলাফলে ভূমিকা রেখেছে? আমি জানি না।’
তবে ৪২ ফাউলের পরেও কোচ তিতে জানালেন, দুই দলই দারুণ একটা ম্যাচ খেলেছে। তিনি বলেন, ‘এটা দুই দলের জন্যই ভালো ম্যাচ ছিল? হ্যাঁ।’ এরপরই আবার ফিরলেন ভিএআর প্রসঙ্গে। বললেন, ‘তবে ভিএআর এভাবে কাজ করতে পারে না। এটা হজম করা খুবই কঠিন। এ শব্দটা আমি ব্যবহার করতে চাইনি। তবে আমি একজন শিক্ষিত মানুষ, তাই এটা করলাম।’
পুরো সংবাদ সম্মেলন তো বটেই, ম্যাচ শেষেও ঝাঁজালো রূপের দেখা মিলেছে তিতের। এমনকি ম্যাচ শেষে টানেল হয়ে বেরিয়ে আসার সময় তিনি রীতিমতো লাথি মেরে বসেছিলেন ভিএআর বক্সেও!