আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
চলমান খাদ্য সংকটের দুশ্চিন্তার মধ্যে চীনের শানসি প্রদেশের জিয়ান শহরে কোয়ারেন্টাইনে থাকা নাগরিকরা নিজেদের কাছে থাকা পণ্য বিনিময় করছেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে করা স্থানীয়দের পোস্টে দেখা যায়, খাবারের জন্য নিজেদের মধ্যে সিগারেট এবং টেক গ্যাজেট বিনিময় করছেন। নিষেধাজ্ঞার কারণে গত ২৩ ডিসেম্বর থেকে শহরটির এক কোটি ত্রিশ লাখ মানুষ ঘর থেকে বাইরে বের হতে পারছেন না।
আগামী মাসে বেইজিংয়ে উইন্টার অলিম্পিক অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়া সামনে চীনা নতুন বছর ‘লুনার নিউ ইয়ার’ আসছে। এসবকে সামনে রেখে দেশটির কর্তৃপক্ষ করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে রাখতে কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করে।
এদিকে উপসর্গহীন তিন ব্যক্তির করোনা শনাক্ত হওয়ার পর রাতারাতি হেনান প্রদেশের ইউঝাও শহরে লকডাউন দেওয়া হয়। শহরটিতে এক কোটি ১০ লাখ লোকের বাস। রাতারাতি শহরটির বিনোদন কেন্দ্রগুলো এবং সড়কগুলোতে যেকোনো ধরনের যানসহ যোগাযোগ ব্যবস্থা বন্ধ করে দেওয়া হয়। সবকিছুর সঙ্গে নিত্যপ্রয়োজনীয় খাবারের দোকানগুলোও বন্ধ করে দেওয়া হয়। শুধু মহামারি প্রতিরোধ সংশ্লিষ্ট কর্মীদের চলাফেরার অনুমতি দেওয়া হয়। দেশটির ‘জিরো কোভিড’ নীতির মধ্যেই পশ্চিমাঞ্চলের বড় এই শহরে সংক্রমণ হতে থাকে। দেশটি করোনার সঙ্গে বাস করার চেয়ে বরং যেন এটিকে বিতাড়িত করতে চাইছে।
অন্যদিকে জিয়ান শহর কর্তৃপক্ষ ঘরে বন্দি থাকা পরিবারগুলোকে বিনামূল্যে খাবার দিচ্ছে। কিন্তু খাবার না পাওয়ার ব্যাপারে অসংখ্য অভিযোগ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেখা গেছে। শহরের কোনো কোনো বাসিন্দা বলছেন, তাদের খাবার ফুরিয়ে যাচ্ছে। আবার কেউ কেউ বলছেন, তারা এখনো খাবার পাননি।
সূত্র:বিবিসি।
বিএসডি/ এলএল