নিজস্ব প্রতিবেদক,
লকডাউনের তৃতীয় দিনে গাজীপুরের বিভিন্ন মহাসড়কে বেপরোভাবে চলাচল করছে নিষিদ্ধ ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। রীতিমতো মহাসড়কে রাজত্ব করে চলছে এই অটোরিকশাগুলো। এতেই প্রতিদিনই ঘটছে দুর্ঘটনা।
শনিবার (৩ জুলাই) সরেজমিনে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে দেখা গেছে, সরকার ঘোষিত লকডাউনের তৃতীয় দিনে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে নিষিদ্ধ ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। নিষিদ্ধ ঘোষণা করার পরও গাজীপুরের মহাসড়কে এসব অটোরিকশা প্রায় সব জায়গাতে দেখা গেছে। চান্দনা চৌরাস্তা থেকে শুরু করে নাওজোর, কড্ডা, কোনাবাড়ি, মৌচাক, সফিপুর, চন্দ্রা ত্রিমোড় হয়ে কালিয়াকৈর বাজার পর্যন্ত চলাচল করছে শতাধিক ব্যটারিচালিত অটোরিকশা। একই অবস্থা দেখা যায় চান্দনা চৌরাস্তা হতে রওশন সড়ক হয়ে শিববাড়ি বাসস্ট্যান্ড পর্যন্ত। মহাসড়কে যানবাহন না থাকায় যাত্রী বুঝে ভাড়া হাঁকছে চালকরা। একটি অটোরিকশায় ৫-৬ জন করে যাত্রী নিয়ে বেপরোয়া গতিতে ছুটছে। কখনো পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে কখনো আবার পুলিশের সামনে দিয়েই চলাচল করছে তারা।
কড্ডা এলাকার বাসিন্দা আব্দুল বাশার জানান, মহাসড়ক এখন অটোরিকশার দখলে। দ্রুত যাওয়ার আশায় যাত্রীরা পায়ে চালিত রিকশায় না চড়ে অটোরিকশায় যাচ্ছেন। মহাসড়কে কীভাবে এইসব নিষিদ্ধ ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চলাচল করছে? প্রশ্ন করেন তিনি।
মৌচাকের বাসিন্দা আবু সাইদ জানান, গতকাল রাতেও অটোরিকশার সঙ্গে ট্রাকের সংঘর্ষ হয়ে দুজন মারা গেছে। মহাসড়কে এইসব আটো যেন চলাচল করতে না পারে এজন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া উচিত।
তিনি বলেন, ‘আমরা দেখেছি রিকশা-ভ্যানের মধ্যে মোটর লাগিয়ে রাস্তায় চলছে। শুধু সামনের চাকায় ব্রেক, পিছনের চাকায় কোনো ব্রেক নেই বা ব্যবস্থা থাকলেও তা অপ্রতুল। সেগুলো যখন ব্রেক করে যাত্রীসহ গাড়ি উল্টে যায়। এই গাড়িগুলোতে ওঠা থেকে সচেতন হওয়া উচিত।’
সালনা (কোনাবাড়ি) হাইওয়ে পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর গোলাম ফারুক বলেন, এই অটোরিকশাগুলো পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে চালছে। তবে মহাসড়কে অটোরিকশা পেলেই জব্দ করা হচ্ছে। এদের কোনো প্রকার ছাড় দেওয়া হচ্ছে না।
সাজ্জাদ/মুছা