আদালত বলেছেন, ভুক্তভোগী কারও আর্থিক সাহায্যের প্রয়োজন হলে বরগুনা, ঝালকাঠি, বরিশালসহ সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসকদের কাছে আবেদন করবেন। সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসক ওই আবেদন বিবেচনা করে প্রয়োজনীয় আর্থিক সহায়তা দিতে ত্বরিত ব্যবস্থা নেবেন।
লঞ্চে আগুনের ঘটনায় নিহত ও আহত ব্যক্তিদের ক্ষতিপূরণ এবং নৌ দুর্ঘটনা এড়ানোর পাশাপাশি অবস্থার উন্নয়নে কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, তা জানিয়ে আদালতে প্রতিবেদন দিতে নির্দেশনা চেয়ে গত রোববার সুপ্রিম কোর্টের দুই আইনজীবী পৃথক রিট করেন।
২৩ ডিসেম্বর দিবাগত রাতে ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে বরগুনাগামী এমভি অভিযান-১০ লঞ্চে অগ্নিকাণ্ড ঘটে। এই ঘটনায় আজ মঙ্গলবার পর্যন্ত ৪১ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
নিখোঁজ রয়েছেন বেশ কিছু যাত্রী। বরগুনা জেলা প্রশাসনের কাছে নিখোঁজের তালিকায় ৩৩ জনের নাম আছে। ঝালকাঠি জেলা পুলিশ যে তালিকা করেছে, তাতে নিখোঁজ ৪০ জন। আর ঝালকাঠি যুব রেড ক্রিসেন্ট যে তালিকা করেছে, তাতে নিখোঁজ আছেন ৫১ জন।
আগুনের ঘটনায় নিহত প্রত্যেক যাত্রীর পরিবারকে ১০ লাখ টাকা ও গুরুতর আহত প্রত্যেককে ৫ লাখ টাকা তাৎক্ষণিক ক্ষতিপূরণ দিতে অন্তর্বর্তী নির্দেশনা চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ইউনুছ আলী আকন্দ একটি রিট করেন।
ওই দুর্ঘটনায় আহত ব্যক্তিদের চিকিৎসা ও নিহত ব্যক্তিদের পরিবারকে ১০ লাখ টাকা করে দিতে অন্তর্বর্তী আদেশ চেয়ে একই দিন অপর রিটটি করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সৌমিত্র সরদার।
আজ পৃথক দুটি রিট শুনানির জন্য ওঠে। একসঙ্গে শুনানি নিয়ে আদালত আদেশ দেন।
আদালতে সৌমিত্র সরদারের করা রিটের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী অনীক আর হক, আনিসুর রহমান ও আনিচুর রহমান। অপর রিটের পক্ষে আবেদনকারী ইউনুছ আলী আকন্দ নিজেই শুনানি করেন।
রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমার।
রুলে ওই লঞ্চে আগুন প্রতিরোধে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা নিশ্চিতে বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না—তা জানতে চাওয়া হয়েছে।
স্বরাষ্ট্রসচিব, নৌ পরিবহনসচিব, ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের মহাপরিচালক, বিআইডব্লিওটিএর চেয়ারম্যানসহ বিবাদীদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
বিএসডি/ এলএল