আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
লিবিয়ার রাজধানী ত্রিপলিতে সশস্ত্র দুটি গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় ১৩ জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন ২৭ জন।
শনিবার (২৩ জুলাই) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা। খবরে বলা হয়েছে, আইন জারা ও আসবা এলাকায় সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে। যেখানে সংঘর্ষের ঘটনাটি ঘটে সেখানে কূটনৈতিক মিশনসহ বেশ কয়েকটি সরকারি ও আন্তর্জাতিক সংস্থা রয়েছে বলে জানিয়েছেন শহরের জরুরি পরিষেবা দফতরের একজন মুখপাত্র।
ত্রিপলি অ্যাম্বুলেন্স ও জরুরি পরিষেবার মুখপাত্র ওসামা আলী বলেছেন, সংঘর্ষের ঘটনায় মোট ৪০ জন হতাহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে তিনজন বেসামরিক নাগরিক।
এ ঘটনায় রাডা নামে একটি সশস্ত্র বাহিনীকে দায়ী করা হয়েছে। শুক্রবার সকালে এ বাহিনীর বেশ কয়েকজন সদস্যকে ঘটনাস্থলে দেখা যায়।
সংঘর্ষের ঘটনায় কিছু যানবাহন পুড়িয়ে দেওয়া হয়। বন্ধ হয়ে যায় মিটিগা বিমানবন্দরে ফ্লাইট চলাচল। যদিও পরে আবার সেটি চালু হয়।
লিবিয়ার প্রেসিডেন্ট পরিষদ এক বিবৃতিতে উভয় পক্ষকে সংঘর্ষ থামাতে আহ্বান জানায়। এ ঘটনার তদন্ত করবেন দেশটির সরকার ও সামরিক আইনজীবীরা।
সংঘর্ষের কারণ কী, তা জানা যায়নি। তবে ধারণা করা হচ্ছে লিবিয়ার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রশাসনকে সমর্থনকারী মিলিশিয়াদের মধ্যে চলমান ক্ষমতার লড়াইয়ের অংশ হিসেবে ঘটনাটি ঘটে।
উত্তর আফ্রিকার দেশটিতে কয়েক মাস ধরে উত্তেজনা বাড়ছে যখন থেকে দুই প্রধানমন্ত্রী ক্ষমতার জন্য লড়াই করছেন। পূর্বাঞ্চলের সামরিক প্রধান খলিফা হাফতারের জোরপূর্বক ত্রিপলি দখল করার একটি ধ্বংসাত্মক প্রচেষ্টা রোধ করার লক্ষ্যে স্বাক্ষরিত এক যুগান্তকারী চুক্তির দুই বছর পর নতুন করে আবার সংঘাতের আশঙ্কা তৈরি করেছে।
বিএসডি/ফয়সাল