এত কিছুর মধ্যে এবার ল্যাঙ্গার পেলেন উসমান খাজার সমর্থনও। ২০১৮ সালে সংযুক্ত আরব আমিরাতে সফরের সময়ে এই খাজার সঙ্গে বেশ কথা–কাটাকাটি হয়েছিল ল্যাঙ্গারের। কিন্তু অস্ট্রেলিয়া দলে অনেক দিন ধরেই অনিয়মিত খাজা এখন বলছেন, ল্যাঙ্গারকে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ও অ্যাশেজ পর্যন্ত কোচের পদে রাখা উচিত। দলের খেলোয়াড়েরাই ল্যাঙ্গারের পিঠে ছুরি মারছেন বলে মনে হচ্ছে খাজার!
‘আপনাদের কী মনে হয়, জেএলের (জাস্টিন ল্যাঙ্গার) এখন কেমন লাগছে? তাঁর হয়তো মনে হচ্ছে, দলের ক্রিকেটাররা তাঁর পিঠে ছুরি মারছে। সব দেখে তা-ই তো মনে হচ্ছে। এ কারণেই ব্যাপারটা বেশি হতাশাজনক। সত্যি বলতে, এসব দেখতে খারাপ লাগে। পুরো দলের উচিত, শিগগিরই এই ব্যাপারগুলো নিজেদের মধ্যে মিটিয়ে ফেলা’—নিজের ইউটিউব চ্যানেলে বলেছেন খাজা।
মাঠে অস্ট্রেলিয়ার হতাশাজনক পারফরম্যান্সের পেছনে সব দায় কোচের নয় বলেই জানালেন পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত খাজা, ‘সবকিছু পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে বিশ্লেষণ করে দেখুন। এখানে শতভাগ দায় কখনোই কোচের নয়। খেলোয়াড়েরা ঠিকভাবে পারফর্ম করছে না। একটা পর্যায়ে গিয়ে খেলোয়াড়দেরও কিছুটা দায় নেওয়া উচিত। ওদের আরও ভালো খেলতেই হবে, আর দিন শেষে এটা শুধু একজনের নয়, সবারই ভালো খেলার ব্যাপার।’
২০১৮ সালে সংযুক্ত আরব আমিরাতে ল্যাঙ্গারের সঙ্গে ওই ঝগড়ার কারণেই খাজা দলে জায়গা হারিয়েছেন বলে মনে করা হয়। তবে ২০১৯ অ্যাশেজের পর দল থেকে ছিটকে পড়া খাজা জানালেন, ল্যাঙ্গারের সঙ্গে তাঁর সম্পর্কটা ‘ভালো’। ল্যাঙ্গারকে এখনই চাকরি থেকে সরানো উচিত হবে না বলেও মনে হচ্ছে খাজার, ‘টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়ার কোচ থাকার সুযোগ তাঁর প্রাপ্য। অ্যাশেজে অস্ট্রেলিয়ার কোচ থাকার সুযোগ তাঁর প্রাপ্য। এই সবকিছুর পর যদি সবকিছু ঠিকঠাক না চলে, তখন আপনি চাইলে সবদিক দেখে হয়তো ভাবতে পারেন যে ‘‘ঠিক আছে, আমাদের হয়তো কিছু একটা বদলানো দরকার।’’’