বিএসডি অনলাইনঃ
হারারে স্পোর্টস ক্লাব মাঠে ৮ উইকেটে জিম্বাবুয়েকে হারিয়ে টি-টোয়েন্টিতেও শুভ সূচনা হলো বাংলাদেশের। ১৫৫ রানে প্রথমবার জিম্বাবুয়ের মাটিতে টেস্ট সিরিজ জয়। তারপর ওয়ানডেতে হোয়াইটওয়াশ করে পুরো ৩০ পয়েন্ট সংগ্রহ এবং তাদের বিপক্ষে ৫০তম জয়! অর্জনের তালিকা আরেকটু লম্বা হলো বৃহস্পতিবার। আর টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে এটি ছিল তাদের শততম ম্যাচ। এই মাইলফলকের ম্যাচে রঙ ছড়ালেন বোলার ও ব্যাটসম্যানরা।
টেস্টের পর টি-টোয়েন্টিতেও শততম ম্যাচে জয় উদযাপন করলো বাংলাদেশ। ২০১৭ সালের মার্চে পি সারা ওভালে স্বাগতিক শ্রীলঙ্কাকে চার উইকেটে হারিয়ে শততম টেস্টে জয়ের হাসি হাসে তারা। চার বছর পর সংক্ষিপ্ততম ফরম্যাটেও একশ নম্বর ম্যাচটি জিতলো টাইগাররা। এই ম্যাচে ছিলেন না অভিজ্ঞ ওপেনার তামিম ইকবাল। তার অভাব বোধ করতে দেননি সৌম্য সরকার ও নাঈম শেখ। ১৩.১ ওভারে ১০২ রানের জুটি গড়েন তারা। দৌড়ে প্রথম রান নিয়ে ফিফটিতে পৌঁছে ডাবলস নিতে গিয়ে রান আউট হন সৌম্য। ৪৫ বলে চারটি চার ও দুটি ছয়ে টি-টোয়েন্টিতে চতুর্থ হাফ সেঞ্চুরি উদযাপন করতে করতে সাজঘরে ফেরেন তিনি।
জয়ের ভিত গড়ে দিয়ে ফিরে যান সৌম্য। তারপর মাহমুদউল্লাহ জুটি বাঁধেন নাঈমের সঙ্গে। তবে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়তে পারেননি অধিনায়ক। ১৭তম ওভারে নন স্ট্রাইক থেকে রান নিতে গিয়ে শর্ট ফাইন লেগ থেকে মুজারাবানির সরাসরি থ্রোতে কিপারস এন্ডে রান আউট হন মাহমুদউল্লাহ। ২১ রানের জুটিতে তার অবদান ১৫ রান, বল খেলেন ১২টি। ৭ বল বাকি থাকতে জয়ের আনুষ্ঠানিকতা সারেন নাঈম ও নুরুল হাসান সোহান। অপরাজিত ৩০ রানের জুটি গড়েন তারা। নাঈম ৪০ বলে পাঁচ চারে দ্বিতীয় হাফ সেঞ্চুরি করেন। ৫১ বলে ৬৩ রানে অপরাজিত ছিলেন তিনি। ১৬ রানে খেলছিলেন সোহান। ২ উইকেট হারিয়ে ১৫৩ রানের লক্ষ্য ছোঁয় সফরকারীরা।
এর আগে মোস্তাফিজুর রহমান, মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন ও শরিফুল ইসলামের দুর্দান্ত বোলিংয়ে জিম্বাবুয়েকে বড় স্কোর গড়তে দেয়নি বাংলাদেশ। বোলারদের দুর্দান্ত বোলিংয়ে ১৫২ রানে গুরিয়ে যায় জিম্বাবুয়ে শিবির।
বিএসডি/মাজিদ