বর্তমান সময় ডেস্ক:
দেশের প্রায় দেড় কোটি স্কুলশিক্ষার্থীর কাছে এ বছরের শিক্ষা উপকরণ কেনার জন্য ভাতা পৌঁছানোর কথা থাকলেও এখনও তা পোঁছেনি। অথচ গত জানুয়ারিতেই এই ভাতা পৌঁছানোর কথা ছিলো। ভাতা বাবদ যার বরাদ্দ ছিলো ৮৬৪ কোটি ২০ লাখ টাকা। এক প্রতিবেদনে এই তথ্য উঠে এসছে।
এ প্রসঙ্গে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আলমগীর মুহম্মদ মনসুরুল আলম বলেন, ‘আমরা নিজেরা একটা ডাটাবেজ তৈরির কাজ করছি। আমাদের সফটওয়্যার আপডেটের কাজ চলছে। সেটা হলেই টাকা শিক্ষার্থীদের কাছে চলে যাবে।’
তিনি আরও বলেন, এই ভাতা বিতরণে আমরা নিজেদের এমআইএস ব্যবহার করব। তবে এটা এমএফএসের মাধ্যমেই যাবে। এই সফটওয়্যারটি তৈরি করতে একটু সময় লাগছে। এটার জন্য আমরা একটা নীতিমালা করছি। সেটা এখন অর্থ মন্ত্রণালয়ে অনুমোদনের জন্য আছে। সেটা অনুমোদন হতে হতে আমাদের সফটওয়্যারও তৈরি হয়ে যাবে। তারপর শিক্ষার্থীদের এই টাকা পৌঁছানো হবে।
এদিকে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, টাকাগুলো ইলেকট্রনিক মানি ট্রান্সফার (ইএমটি) করা আছে। এখন কেবল বিতরণকারী সংস্হার কাছে গেলেই এটি বিতরণ করা যাবে।
এছাড়া গত ১৮ নভেম্বর প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরে এ বিষয়ে উচ্চ পর্যায়ের একটি বৈঠকও হয়েছে। কিন্তু তাতেও পরিস্থিতির উন্নতি হয়নি। ভাতা বিতরণের দায়িত্ব এখন পেয়েছে ডাক বিভাগের ডিজিটাল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস নগদ। কেন টাকা পাঠানো যাচ্ছে না জানতে চাইলেও এ বিষয়ে গণমাধ্যমে নগদের কোনো কর্মকর্তা কথা বলতে রাজি হননি।
উল্লেখ্য, গত বছরের ডিসেম্বরে প্রাথমিক পর্যায়ের দেড় কোটি শিক্ষার্থীর উপবৃত্তি ও শিক্ষা উপকরণ কেনার ভাতা বিতরণের দায়িত্ব পায় নগদ। এরপর প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুসারে শিক্ষার্থীদের মায়ের জাতীয় পরিচয়পত্র, মোবাইল নম্বর এবং শিক্ষার্থীর নিবন্ধিত নাম দিয়ে একটি ডেটাবেজ তৈরি হয়। সেই ডেটাবেজ অনুসারেই নগদ অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে ২০১৯-২০ ও ২০২০-২১ অর্থবছরের পুরো উপবৃত্তি ও ভাতা বিতরণ করেছে তারা।
বিএসডি/ এলএল