নিজস্ব প্রতিবেদক:
ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারী ‘মাস্তানদের’ গ্রেফতারের নির্দেশ দেওয়ার হয়ে বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নূরুল হুদা। তিনি বলেছেন, অনেকে গ্রেফতার হয়েছে। অনেককে গ্রেফতারের তৎপরতা চলছে। এলাকার মাস্তান যারা বিশৃঙ্খলা করতে পারে তাদের আগাম গ্রেফতারে জন্য ইন্সট্রাকশন দিয়েছি।
আগামী নির্বাচনগুলোয় সহিংসতা রোধে আপ্রাণ চেষ্টার করা হবে এমন আশ্বাস দিয়ে সিইসি বলেন, এ লক্ষ্যে আগাম গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ ও নজরদারি বাড়ানোর তাগিদ দিয়েছেন তিনি।
নূরুল হুদা জানান, এমপি-মন্ত্রীদের অধিকাংশই আচরণবিধি অনুসরণ করেন। দু’চার জন মানছেন না বলে অভিযোগ এসেছে। তাদের চিঠিও দেওয়া হয়েছে এলাকা ছাড়ার জন্য। প্রত্যেকটি ঘটনা তদন্ত করা হচ্ছে। আচরণবিধি লঙ্ঘন করলে অতীতে মামলা করা হয়েছে। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, আগামীতেও প্রয়োজনে মামলা করা হবে।
প্রথম দুই ধাপের ইউপি ভোটে সহিংসতা নিয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়েছে বলে উল্লেখ করেন সিইসি।
তিনি বলেন, আগামী নির্বাচনে আমরা আপ্রাণ চেষ্টা করবো নির্বাচনী সহিংসতা রোধ করার জন্যে। একটাও সহিংস ঘটনা হবে না, মারামারি হবে না এমন নিশ্চয়তা আমরা দিতে পারি না। আমরা চেষ্টা করবো এগুলো নিয়ন্ত্রণ করার জন্য।
পাড়া মহল্লায় পাহারা দিয়ে সহিংসতা বন্ধ করা অসম্ভব- এ বিষয়টি আবারও স্মরণ করে সিইসি নির্বাচনী পরিবেশ ভালো রাখতে সবার সহযোগিতা চান।
আচরণবিধি প্রতিপালনে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার পাশাপাশি সহিংসতা ঘটতে পারে এমন পকেটগুলো চিহ্নিত করে আগাম গোয়েন্দা তথ্য নিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে আইন শৃঙ্খলা বৈঠকে। সেই সঙ্গে নজরদারি বাড়ানা ও দায়ীদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূক ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বলা হয়েছে।