শিক্ষা ডেস্কঃ
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক গোলাম সাব্বির সাত্তার বলেছেন, বঙ্গবন্ধু শিক্ষা নিয়ে অনেক কাজ করে গেছেন। শিক্ষার অগ্রগতির জন্য দেশ স্বাধীন হওয়ার পর ১৯৭২ সালে বঙ্গবন্ধু কুদরত-এ-খুদা শিক্ষা কমিশন গঠন করেন। শিক্ষা ব্যবস্থার ক্ষেত্রে আমাদের আজকের যে অধঃপতন, তার জন্য আমরাই দায়ী। কাজেই শিক্ষা ব্যবস্থাকে নিয়ে আমাদের বারবার চিন্তা-ভাবনা করা উচিত। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে উপাচার্যসহ সকল নিয়োগের নানা নীতিমালা আছে। যেগুলো সঠিকভাবে মেনে নিয়োগ কার্য সম্পন্ন করলে শিক্ষা ব্যবস্থার এমন পরিণতি হতো না।
আজ বুধবার বেলা সাড়ে ১১টায় সিনেট ভবনে ‘বঙ্গবন্ধুর বিশ্ববিদ্যালয় ভাবনা ও বর্তমান বিশ্ববিদ্যালয়’ শীর্ষক সেমিনারে এসব কথা বলেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক গোলাম সাব্বির সাত্তার।
বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মূল্যবোধে বিশ্বাসী প্রগতিশীল শিক্ষক সমাজের আহ্বায়ক অধ্যাপক এম খলিলুর রহমান খানের সভাপতিত্বে সেমিনারে মুখ্য আলোচক ছিলেন বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালের বঙ্গবন্ধু চেয়ার অধ্যাপক সৈয়দ আনোয়ার হোসেন।
মুখ্য এই আলোচক বলেন, ‘শিক্ষকরা যদি সারা বছর নির্বাচনই করবে, তবে পড়বে কখন আর গবেষণা করবে কখন? এখন যা অবস্থা হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকদের নির্বাচন হয় কিন্তু শিক্ষার্থীদের কোনো নির্বাচন হয় না। প্রত্যেকটি বিশ্ববিদ্যালয় এখন অগণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান। এটি বঙ্গবন্ধুর বিশ্ববিদ্যালয় না। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হওয়ার জন্য দক্ষতা-শর্তাবলীর প্রয়োজন পড়ে, কিন্তু উপাচার্য হবার জন্য কোনো দক্ষতার প্রয়োজন পড়ে না। বিশ বছর শিক্ষকতার অভিজ্ঞতা থাকলেই উপাচার্য, উপ-উপাচার্য হওয়া যায়। বিশ্ববিদ্যালয়ে তৈরি হবে আলোকিত মানুষ, শুধু কারিগর নয়।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তরের প্রশাসক অধ্যাপক প্রদীপ কুমার পান্ডের সঞ্চালনায় আলোচনা করেন নর্থ বেঙ্গল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি উপাচার্য অধ্যাপক আব্দুল খালেক। অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক সুলতান-উল-ইসলামসহ বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
বিএসডি/কাফি