নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সারাদেশে শতভাগ বিদ্যুৎ পৌঁছেছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
মঙ্গলবার তার বাসভবনে ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা বলেন।
এ সময় বিএনপি নেতাদের প্রতি প্রশ্ন রেখে সেতুমন্ত্রী বলেন, পদ্মাসেতু, মেট্রোরেল, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, কর্ণফুলী টানেল, বিআরটি, সারাদেশে ২২টি ফ্লাইওভার, ২০টির মতো আন্ডারপাসসহ একাধিক উন্নয়নমূলক কাজ কী আপনাদের চোখে পড়ে না? এসব উন্নয়ন দেখে আসলে বিএনপির গাত্রদাহ হয়।
বর্তমানে শতভাগ বিদ্যুৎ সারাদেশে পৌঁছেছে, এটাও বিএনপির বিদ্বেষের কারণ। ২ হাজার ২২৭ ডলার মাথাপিছু আয়, এ বিস্ময়কর অগ্রগতি বিএনপির সহ্য হয় না বলেও এ সময় উল্লেখ করেন ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, বিএনপির অবাধ মিথ্যাচার ফ্যাসিবাদী মানসিকতার অংশ। বিএনপির শাসনামলে তারাই ফ্যাসিবাদী চর্চা করেছিল। সরকারকে ফ্যাসিবাদী বলার আগে বিএনপিকে আয়নায় নিজেদের চেহারা দেখতে হবে। তাহলে দেখতে পাবেন নিজেরাই ফ্যাসিবাদের উত্তরাধিকার বহন করছে এবং তাদের মাঝে বিরাজ করছে ফ্যাসিবাদী মানসিকতা।
সরকার নাকি ব্যর্থতা আড়াল করতে দমন-পীড়ন চালাচ্ছে- বিএনপি নেতাদের এমন বক্তব্যের জবাবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, শেখ হাসিনা সরকার দমন-পীড়নে বিশ্বাসী নয়, গঠনমূলক সমালোচনাকে সরকার সবসময় স্বাগত জানায়।
তিনি বলেন, বিএনপি এমন রাজনৈতিক দল, যারা গত তেরো বছরে সরকারের একটি সফলতাও দেখতে পায়নি, শুধু দেখেছে কথিত ব্যর্থতা।
সরকারের বিরুদ্ধে বিষোদগার করে বিএনপি নেতারা মনের শান্তি ও স্বস্তি খোঁজেন উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, তারা নিজেদের ব্যর্থতা চিহ্নিত করার কোনো উদ্যোগ বা প্রয়াস চালান না। কর্মী-সমর্থকদের ধাঁধার মধ্যে রেখে নিজেদের ব্যর্থতা আড়াল করতে চায় বিএনপি। সার্বক্ষণিক সরকারের বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করছে তারা।
বিএনপির কথা বলার সুযোগ কমেছে- নেতাদের এমন অভিযোগের জবাবে সেতুমন্ত্রী বলেন, কথা বলার সুযোগ অবারিত ছিল, বিএনপি মহাসচিবের বাইরে চিৎকার করারও প্রয়োজন ছিল না। বিএনপির মহাসচিব হিসেবে তিনি সংসদে গিয়ে কথা বলতে পারতেন। কিন্তু নির্বাচিত হয়েও সংসদে না গিয়ে ফখরুল সাহেব দ্বিচারিতা করেছেন।
বিএসডি/এমএম