নিজস্ব প্রতিবেদক:
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, করোনাভাইরাস সংক্রমণ আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে। এই অবস্থা চলতে থাকলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়া হবে। তবে আপাতত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করার কোনো পরিকল্পনা নেই।
শনিবার দুপুরে মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার গড়পাড়া শুভ্র সেন্টারে মানিকগঞ্জ সদর ও সাটুরিয়া উপজেলার বিভিন্ন এলাকার দরিদ্র মানুষের মাঝে কম্বল বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘এরই মধ্যে করোনা নিয়ন্ত্রণে বেশকিছু পদক্ষেপ নিয়েছে সরকার। সারাদেশে জেলা-উপজেলা পর্যায়ের সব হাসপাতাল এবং নার্স-চিকিৎসকরা সেবা দেওয়ার জন্য প্রস্তুত রয়েছে। সব দোকান-পাট রাত ৮টার মধ্যে বন্ধ করতে হবে। টিকা সনদ ছাড়া রেস্টুরেন্টে প্রবেশ করা যাবে না। বাস-ট্রেন-লঞ্চসহ যাত্রীবাহী সব পরিবহনে অর্ধেক যাত্রী বহন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী অনুমোদন দিলেই দুয়েক দিনের মধ্যে এসব কার্যকর হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘দেশে করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আছে বলেই এখনো অর্থনীতির চাকা ঘুরছে। কল-কারখানায় উৎপাদন কার্যক্রম স্বাভাবিক রয়েছে। শিক্ষার্থীরা স্কুল-কলেজে যেতে পারছে। এই পরিস্থিতি বজায় রাখার জন্য সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী দোকানপাটে ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়কে মাস্ক ব্যবহার করতে হবে। মাস্ক ব্যবহার না করলে জেল-জরিমানার মুখোমুখি হতে হবে।’
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘অমিক্রণে যুক্তরাজ্যে এক লাখ ও আমেরিকায় চার লাখ পর্যন্ত মানুষ সংক্রমিত হয়েছে। আমাদের দেশে এই অবস্থা আমরা চাই না। আমাদের দেশকে সুরক্ষিত রাখতে চাইলে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। প্রাথমিকভাবে মাস্ক আমাদের সংক্রমণ ঝুঁকি কমাবে। সংক্রমণের হার যেভাবে বাড়ছে, স্বাস্থ্যবিধি মানার বিষয়ে আমরা কঠোরতা অবলম্বন করব।’
তিনি আরও বলেন, ‘সারাদেশে নির্বাচন হচ্ছে, বিভিন্ন ধর্মীয়-সামাজিক অনুষ্ঠান হচ্ছে। কিন্তু এসব ক্ষেত্রে স্বাস্থ্যবিধি মানা হচ্ছে না। এতে করোনা সংক্রমণ বাড়ছে।’
স্বাস্থ্যমন্ত্রীর নিজস্ব অর্থায়নে এ শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়। অনুষ্ঠানে মানিকগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হাফিজুর রহমান, জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শাহ মো. যোবায়ের, মানিকগঞ্জ সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আফসার উদ্দিন সরকার, সাটুরিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আফাজ উদ্দিন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
বিএসডি/ এলএল